মেঘহীন বিধবা রাতে
একফালি ন্যাড়া চাঁদের শেষবিন্দু আলো
দপ করে জ্বলে ওঠে অন্ধকার কালো
আর আমি হ্যাংলার মতো
নিকষ কালো আঁধারের পানে
চেয়ে চেয়ে দেখি তারাদের নগ্ন আলোয় স্নান।
মরাকটালের অনন্যসাধারন সাঁঝে
ব্যখ্যাতীত আলো আধারিতে
অঞ্জলীতে মোর মেখে নিলাম হলুদ ফিকে আলোর উষ্ণতা।
আর ব্যলকনীতে শুধু আমি একা।

এককাপ সরওঠা চায়ের শুন্য কাপে
উবু হয়ে পড়ে থাকা নীল মাছি
গোটা কতক।
ইচ্ছে হলে হাত বাড়িয়ে ছুয়ে দেই
রাতের চাদোঁয়া।
ধরা যায়, তবু থাকে অধরা। রাতের আলেয়া।
গরাদের ফাঁকে আটকে আধখানা চাঁদ
জোৎস্নারা ভীড় করে অনাহুত আহ্লাদে
আর আছে রাশি রাশি সাদা শিউলি
গরাদের ফাঁকে চাঁদ
এক কাপ চা আর এপাড়ে আমি একা।

নিঃসঙ্গ একাকী বিকেলে
সূর্যদেব যবে দিগন্তে মুখ লুকায়
সাদা-কালোর ধোঁয়াশায় মায়াময় চারপাশ
আমি একা ঠায় বসে তোমায় ভাবি।
হঠাৎ একাকিত্বে।
ভর দুপুরে রাস্তায় যখন ঠা ঠা রোদ্দুর
নেড়ি কুকুরগুলো একহাত জিহবা
লালাভরা মুখ হতে বের করে হাপায়
পিচগলা রাস্তার কটু গন্ধ আমার জানালা দিয়ে
অনাহুত আস্বাদ নিয়ে হুড়মুড় করে ঢুকে পড়ে
তপ্ত ব্যালকনীতে তখনো আমি একা।
তোমায় ভাবি, মনে মনে কাছে টানি।
ত্রিংশ শতাব্দীর এই নষ্ট শহরে
ইতিহাস আসে সংস্কৃতির মিথ্যে আশ্বাসে।
চুপি চুপি।
তোমায় ভাবি একাকী। সরওঠা চায়ের কাপে
নীল পদ্মের কাব্য নয়
রাশি রাশি নীল মাছি। একাকীত্বের ভ্রমে
তবু তোমায় ভাবি।