শুচীতার আধারে এক মুঠো পঙ্কিল
জোৎস্না একাঙ্কিকা মায়াবিনী সপ্নিল।
জোনাকীর আলোতে ঘুঁচে যায় আঁধিয়ার,
তুমি আছ আমি আছি রাত নীলে চাঁদোয়ার।

তারাদের খুনসুটি আকাশের ইজেলে
তুলি হয়ে শুভ্রতা তোমাকে যে ভেজালে;
মুগ্ধতা মৌনতা হয়ে হাত বাড়ালে
ছায়া মাঝে কায়া ভাসে শিউলীর চাঁতালে।

টলোমলো দিঘী জল কালো কেশে বিনুনী,
সন্ধ্যা তারার ঝাঁক যেন ঠাস বুনানি।
নকশী কাঁথার মাঠ সুঁই সুতো বিহনে
ঘুম চোখে টিপ দেয় বর্ষার উঠোনে।

তারি মাঝে রাশি রাশি শুঁচীতার কুঁড়ি দল
ঘোমটা পড়িয়ে দেয় কুয়াশার নির্মল।
হিম হিম ঠান্ডায় গ্রহনের গ্রাসকাল
রাহু লাগে বাহুডোরে আদ্দেক মিশকাল।

কেঁয়া বনে নিশীরাতে বায়ু বহে শন শন
পূর্নিমা তিথী রাত, হৃদ মাঝে উচাটন।
আধখানা কাব্য কবিতার খাতাতে
মায়াময় কূহকিনী, বন্ধুতা পাতাতে,
ডেকে নেয় ছলনায় নীদ মাঝে দিয়ে চুম
রাতজাগা ক্লান্তিরা আঁখি মুদে দেয় ঘুম।।