বৃষ্টির রিমঝিম আমাকে স্নিগ্ধ করে দেয়
আনমনা করে শেষ বিকেলে, ঝড়ো বাতাসের যুগপতে।
টুপটাপ ধ্বনিতে মন্ত্রমুগ্ধ করে।
কুমোরের নরম কাদার মতো।
রুক্ষতার ক্যাকটাস রোদে
এক মরুদ্যানের মতো।
হঠাৎ নামা জলের ধারায় অবগাহন সুখ
আমাকে হৃষ্ট করে, সিক্ত করে।
বৃষ্টির কালো জলের ফোটা
দীঘির টলটলে চোখে টুপটাপ ঝরে যখন,
তখন
আমার ক্রোধকে
চাপা বহ্নির সবটুকু লুকোনো কষ্ট
মোমের মদির আলোর মতো
ঢিমে করে দেয় মৃদু ছন্দে।
বৃষ্টির একান্ত নিজস্ব ছন্দ।
হালকা একটা চাপা কষ্টে
তিলে তিলে জর্জরিত, অবগুন্ঠিত ধরনীর খোলা ময়দানে
বৃষ্টি আসে মেঘের মন্দ্র নাদে
উষর কবিতার খাতায় যোগ করে দু’টো নতুন চরণ।
আমি শুনি তার রুমঝুম নিক্কন।
বৃষ্টি আমার দৃষ্টিকে, আকাশের কষ্টকে
হৃদয়ে ধারন করতে বাধ্য করে।
কল্পনার মত্ত আকাশটাকে মেঘে ছেয়ে যাবার শোকে
আপ্লুত হতে প্ররোচনা জাগায়
সাথে শীতল জলের নগ্ন শিহরন
স্ফটিক স্বচ্ছতা
পুরোটুকু বুঝে নিতে মন্ত্রণা দেয়।
খড়ি ওঠা মাঠে হঠাৎ থকথকে কাঁদায়
হাঁসেদের যথেচ্ছ বিচরণের মতো।
হাঁটুরেদের ত্রস্তে চকিতে পলায়নের দৃশ্য
জানালার ফাঁক দিয়ে উপভোগ করার দুষ্টুমীর মতো।
চকিত বৃষ্টি তুমি
শিশির হয়ে ঝরো আমার চোখে
আমায় আরেকটু কাঁদাও এসে।
আরেকটু ডুবতে দাও তোমার ভেজা অঞ্চল ভালবেসে।