আয়নাতে আজকাল নিজেকে
ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখতে
আকন্ঠ বিতৃষ্ণা জাগে।
কুৎসিত তিক্ত একটা ভোতা অনুভুতি
গ্রাস করে সমস্ত বধির অন্তকরণ।
নিজেকে নিজের প্রতিবিম্বের বিপরীতে
উল্টে পাল্টে দেখতে দেখতে
কেমন যেন একটা শিশুসুলভ অবিশ্বাস ভর করে
বিষ্ফোরিত ক্রুঢ় কুচকানো দৃষ্টিতে।
উৎকন্ঠার ঠান্ডা স্রোত
মেরুদন্ড বেয়ে গাড় মেরুবরফের মতো নেমে যায়।
ভয়ের অচেনা অবয়বে
নিজেকেই অচেনা লাগে।
অদ্ভূৎ অচেনা মানুষ মনে হয় নিজেকে।
কতকাল যেন দেখিনা,
শুনিনা-
ধরতে পাই
তবু ছুঁতে না পাই।
আয়নার হাসি মুখটাকে মনে হয় মেকি হাসি
কান্নাটাকে খুনীর অট্টহাসি।
নিজের অস্তিত্বকে অবিশ্বাস্য লাগে।
কালো পর্দায় ঢাকা মুখায়বে
জান্তব লালসার হিংস্র নাদে
উঁকি মারে একঝলক তীব্র ঝলকানিতে।
এই আমি আমার যেন নয়-এ এক অন্য আমি।
এখুনি বেড়িয়ে আসবে আর্শির পারদ ফুড়ে।
কর্কশ নখরে ক্ষতবিক্ষত করবে সজোরে।
নিজেকে নিজে অচেনা লাগার
এক অদৃষ্টপূর্ব অভিজ্ঞতায়
বিদ্ধ করে বারে বারে।
তীক্ষ্ণতম যন্ত্রণার তীব্রতম আঘাতে আহত করে।
কায়ার প্রতিবিম্ব ছায়াময় আয়নারে।