আমি জল দেখেছি জল।
ক্ষণিকের জলাশয়ে ভিজে যায় আস্তাচল।
আমি জল দেখেছি জল।


রাত-পাথরের নীরব কান্না আমাকে ভিজিয়ে গেছে।
শুদ্ধতার নিগুঢ় তত্ত্ব আমাকে দিয়ে গেছে আজন্মের আর্দ্রতা
মৃদু শব্দে ঝরে পড়া বিন্দুরাশি
হারিয়ে যাওয়ার চলচ্ছবিও আমাকে দেখতে হয়েছে।
নির্জলা মানুষকেও এক ফোঁটা জলের দায়ে
যাবজ্জীবন দিতে হয় প্রেমাগারে।
দিনের আলো-রাতের অন্ধকার উল্টে-পাল্টে দেখেছি
জলবিন্দুর রঙ।
বাতাসের কাছে শুনেছি বিরহের জল
শুকিয়ে দেওয়ার অনুভূতি।
যে জল জন্মেছিল গোলাপের পাপড়িতে।


গভীর কৃষ্ণের অন্দরে দেখেছি জলবিন্দুর দ্যুতি।
হাজার কবির উঠোনে উঠোনে
হেসে হেসে দোল খায় জলের ফুল।
মহাকালের ভাঁজে ভাঁজে এখনও কিছু কিছু জল
হুঁশিয়ার বলে ওঠে।
ইতিহাস, আন্দোলন, বিদ্রোহ-
কেবলই জল, কেবলই কান্না।


আমি জলের ভেলায় ক্লান্ত মাঝি।
এ জল মমত্বের, এ জল দ্রোহের।
এ জল বিপ্লবের, এ জল শহীদের।