লেখকরা মূলত লিখে নিজস্ব একটা চাহিদায়।যারা জাত লেখক,তারা বেশিদিন লেখালেখি না করে থাকতে পারে না।লেখকের নিজস্ব স্বত্তা লেখককে বাধ্য করে লেখালেখি করতে।সাধারনত লেখক নিজস্ব তৃপ্তির জন্যই লেখে,পাঠকের কথা মাথায় রেখে খুব কমই লেখে।লেখক যদি প্রত্যেকটা লেখা পাঠকের কথা মাথায় রেখে লেখতে যায়,তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মান সম্মত লেখা উপহার দেওয়া সম্ভব হবে না।কিছু কিছু লেখা পাঠকের উদ্দেশ্যে লেখাই যায়,তবে তা হতে হবে খুবই কম পরিমানে।লেখকের নিজস্ব চিন্তা ভাবনা ধরে রাখাটা সবচেয়ে জরুরী।
যুগের সাথে সাথে মানুষের রূচি ও বদলায়।বর্তমানের প্রেক্ষাপটে সহজ ভাষায় লেখা পদ্য,গদ্য সহজে জনপ্রিয়তা পায়।যুগের হাওয়ায় প্রভাবিত হয়ে লেখকরাও তুলনামূলক সহজ ভাষায় লিখে থাকে।যুগের হাওয়া গায়ে লাগানো ভালো,কিন্তু সেই হাওয়ার জোয়ারে ভেসে যাওয়া ভালো না।লেখকদের পাঠকের চাহিদার পাশাপাশি লেখকের নিজস্ব চাহিদাও ধরে রাখতে হবে।তাতে যদি সাধারনের কাছে দূর্বোধ্য কিছুও রচিত হয়,সেটাই শ্রেয়।
প্রাঞ্জলতার নামে মানহীন পদ্য,গদ্য লিখলে চলবে না।লেখালেখিতে নূন্যতম মান যেনো বজায় থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।রচনা যেমন হতে হবে প্রাঞ্জল,সহজবোধ্য,অনাড়ম্বর,তেমনই হতে হবে মননশীল,রূচিশীল,মানসম্মত।