মনে আছে তোমাদের ন্যাড়া সেই ছেলে।
মাথা যার ভেঙেছিল একখান বেলে।
বেলতলা ঘোরা তার ভীষণ বারণ।
ঘোরাঘুরি তবু ছিল শুধু অকারণ।
পাকা বেল শুধু তার মাথাটা খোঁজে।
ন্যাড়া ছাড়া সেই কথা কে-ই বা বোঝে।
সময় নিকুচি করে প্রত্যেক বেলা
ন্যাড়া তবু ফিরে আসে সেই বেলতলা।
সেইদিন ভোরবেলা খুব সাবধানে।
আলমিরা থেকে ছাতা বের করে আনে।
সেই ছাতা নিয়ে ন্যাড়া ভাবছে ভীষণ।
বেলতলা যাবে কবে সেই দিন ক্ষণ।
তারপর একদিন সক্কাল বেলা।
ছাতা নিয়ে আজকে সে দেখাবেই খেলা।
পরিহাস করে ন্যাড়া ইতিহাস ভাবে।
বেল যদি পড়ে তবে ছাতাটা বাড়াবে।
দুষ্টুমি ভরা থাকে মুখটার কোণে।
চলে আসে বেল ধরা সেই প্রাঙ্গনে।
বেলতলা এসে দেখে রোদ্দুর কড়া।
পাকা পাকা বেলগুলো গাছটায় ধরা।
মাথার উপরে তার আসমানী ছাতা।
গাছে গাছে শ্যাওলার বিছানাটা পাতা।
আহা কত সুন্দর আহা কত তেজ।
বেলতলা বাগানের হরেক আমেজ।
সেই গাছে বসে ছিল চোদ্দটা পাখি।
একসাথে বসে তারা কত ডাকাডাকি।
মন ভুলে সেই ডাক উকি দিয়ে ন্যাড়া
ছাতাটার একপাশ সরিয়েই ধরা!
বেল মুখে পাখিগুলো করছিল খোঁজ।
কাণ্ড ঘটালে যেন পাবে উৎকোচ।
ন্যাড়া ঠিক তক্ষুনি যেই গাছ ধরে
গাছের একটা বেল টুপ করে পড়ে।
চোদ্দটা পাখি খায় হেসে লুটোপুটি
আজকে সম্ভবত ইশকুল ছুটি।
পড়বি তো পড়না, ঠিক তার মাথায়।
ন্যাড়া কাঁদে মাথা ধরে উফ উফ ব্যথায়।