কতকাল ধরে তারা লুকোচুরি খেলে...
খটকা লাগলে সেটা পায়ে কাছে ঠ্যালে...
গতিবিধি কারো কারো বোঝা বড় দায়...
ঘটনার আবডালে চোখ বুজে চায়...
চল্লিশ পেরুলেই মাথা ভরা টাক...
ছটফট মনটাকে ঘুনপোকা খাক...
জমাট বাধানো থাকে শেয়ালের মন...
ঝলমল বাতি যেনো জ্যামিতির কোণ...
টহল বাড়িয়ে দেয় পুলিশের দল...
ঠকতে লাগবে শুধু একবাটি জল...
ডজন ডজন তারা সারিগান গায়...
ঢং বাড়ে মেয়েদের নুপুরের পায়...
ণত্ব-বিধাণ আর ষত্ব-বিধান...
তড়িঘড়ি করে তারা হল খানখান...
থমথম করে তাই ব্যাকরণ বই...
দণ্ডপ্রাপ্ত হয় কারকের সই...
ধকল সয়না তার, হেলেদুলে চলে...
নড়াচড়া বারণ আছে, ডাক্তার বলে...
পকেটে জমানো তাই কবিরাজী বড়ি...
ফরসা ফরসা দিনে মাথাঠুকে মরি...
বউছি খেলবে নাকি দুপুর বেলায়...
ভণিতা বাড়ছে তার বউছি খেলায়...
মনিপুরী নাচ পারো? ভাটিয়ালী গান?
যত্নে সাজাও দেখি এক খিলি পান...
রসায়ন বিদ্যের আলুথালু কাজ...
লক্ষ-কোটিতে ভরা মেঘেদের ভাজ...
শঙ্কা বাড়ছে মনে, শরতের ভয়...
ষড়ভুজ বৃত্ততে পরিণত হয়...
সচেতন মানুষ হয়, ঘটিরাম বাবু...
হতাশ সকলে তাই, অল্পতে কাবু...


( ছড়াটিতে আরেকটি চমক আছে। উপর থেকে শুরু করে, প্রতিটি লাইনের প্রথম অক্ষরটি উপর থেকে নিচ অব্দি পড়ে যেতে থাকুন। স্বাভাবিকভাবে ঙ, ঞ, য়-অক্ষরগুলো বাদ দিতে হয়েছে, কোনো শব্দ না থাকায়। জানাবেন কেমন লাগলো... )