মরে গেলে ভূত হবো, ওমা কি আনন্দ...
বাঁশের বাগান হবে ভূত ভূত গন্ধ...
যারে তারে কাছে পেলে ঘাড় দেব মটকে...
কাচা কাচা মাছ খাবো, তেল নূন চটকে...
নাক ডেকে ঘুম দেবো, রোদ জ্বলা দুপুরে...
কারবার শুরু সব রাত্তির পুকুরে...
মাটি ছেড়ে তিন ফুট শুন্যতে ভাসবো...
ভীতুর পেছন থেকে খিল খিল হাসবো...
অরূপের ছোটমামা লোভী আর কিপটে...
প্রথমে ধরবো তার গলাখান চিপটে...
ভাল যদি না লাগে তো, গাছ দেবো দুমড়ে...
কখনো আড়াল থেকে কেঁদে যাবো গুমড়ে...
খিদে পেলে চিপে চিপে খাবো তোর রক্ত...
হাত-পা যদিও তোর প্রচণ্ড শক্ত...
গিলে গিলে খাবো যত ইশকুল পণ্ডিত...
পড়াশোনা ফেলে সব আনন্দে মন দিক...
থাকবো ঝোপের কোণে চুপ মেরে ঘাপটি...
জঙ্গলে রেখে যাবো আঙুলের ছাপটি...
পড়া নাই, লেখা নাই, ছড়া-টড়া লিখবো...
রবীন্দ্রনাথ পড়ে গান লেখা শিখবো...
.
.
.
মাঝ রাত্তির পাবি ঠক ঠক শব্দ...
আমার সঙ্গে তুই করেছিলি দুষ্টুমি,
হবি হবি হবি তুই ভয়াবহ জব্দ...