তুমি আমার আকাশে চাঁদ হও, ভরা যৌবনা পূর্ণিমা
আমি তোমার গলির রাস্তায় পড়ে থাকা ধূলিকণা।
অনাদরে অবহেলায় না হয় জড়িয়ে থাকি তোমার চরণে,
তোমার পায়ে পায়ে তোমার ঘর বারান্দায়।
তোমার কাজের মেয়েটা বড্ড পাঁজি,
সকাল-সন্ধ্যা ধুয়ে মুছে আবার আমার অবস্থান গলি রাস্তায়।
জোছনার জল হয়ে তুমি ঝরে পড়ো আমার বুকে
আমি ধারণ করি তোমায় আমার অস্তিত্ব দিয়ে।
গলির মোড়ের কুকুরটা ক্লান্তি নিয়ে যখন ঘুমিয়ে যায়,
আমি স্পষ্ট শুনতে পাই তার দীর্ঘশ্বাস, যা কি না কামনার।
আমার কামনা, বাসনা আমি আগুনে পুড়িয়েছি
এখন যেটা প্রখর, সেটা ভালবাসা, প্রেম, মায়া
অতঃপর আরাধনায় নিঃশেষ, পড়ে থাকে কেবল স্মৃতিরা।
তুমি বুঝতে পারোনি, কি শীত, হেমন্ত, বর্ষা অথবা শরৎ
তোমার গ্রীল জুড়ে কেন একই ধূলিকণা?
তোমার প্রতিবার স্পর্শে আমি শিহরিত হয়েছি,
যদিও তা তোমার অজান্তে, মুছে ফেলেছো তা বারংবার।
ঋতু বদলায়, হওয়া বদলায়, চাঁদ ডুবে গিয়ে আমাবস্যা
আবার জোছনায় ভাসে শালুক বিল।
বদলায় না কেবল তোমার জানালা জুড়ে ধূলিকণা,
তুমি ঋতুর বদল বুঝলে, বুঝলে না কেবল নিঃশব্দ
কারো বুকের ভালবাসার আর্তনাদ।