ঠিক কতদিন হলো, ঠিক মনে পড়ছে না
একমুঠ লাল, টকটকে লাল কাঁচের চুড়ি কিনে দেয়া হয়নি তাঁরে
সে যে অভিমান করেনি তেমন কিন্তু নয়, অনেক বারই করেছে
আত্মসমর্পণকারী এই আমার চোখের পানে তাকিয়ে ভুলেছে বারংবার।
একটা বেলীফুলের মালা কিংবা সিগন্যালে দাঁড়িয়ে থাকা-
মেয়েটার কাছ থেকে দশ টাকায় একগুচ্ছ গোলাপ,
ধুর ছাই দশ টাকায় একগুচ্ছ গোলাপ এখন কি আর পাওয়া যায়?
আনা হয় না কতকাল, কত প্রহর, হয়নি গোঁজা খোঁপায়।
পুঁইশাক, সজনে ডাটা, দরকারী বাজার সে সবেই নিত্য ঘরে ফেরা।
ঘামে ভেজা শার্ট আর চিরচেনা গায়ের গন্ধ,
বাজারের ব্যাগ নিয়ে যাচ্ছে দিনের পর দিন নিরবে।
কালো টিপ তাঁর ভীষণ রকম পছন্দের
কতদিন বলেছে এক পাতা টিপের কথা,
আমি কিনে দিয়েছি? না না কেনা হয়নি,
এই শহরের দোকানীরা কি বন্ধ করেছে টিপের বেসাতি?
সেরকম কিছুই না, আমি যাইনি দোকানে সময় করে।
বাবুর দেয়া কাজলের কালি লেগে থাকে হরদম তাঁর কপালে।
লালপাড়ের সাদা অথবা বাসন্তী রঙের শাড়ি কেনা হয়নি আজও
অথচ প্রতিটি পহেলা বৈশাখে আমি দেখেছি তাঁরে ঐ সাজেই।
অষ্ট প্রহরে কতশত বার উচ্চারিত "ভালবাসি" কথাটি
শুনেনি তাঁর কান উচ্চারিত হয়নি আমার ওষ্ঠে কতদিন।
ভরা চান্নি-পসর রাতে চাঁদ উঠে আবার ডুবেও যায়
আমার ভাসিনি কতকাল জোছনার জলে।


তারপরও

জানি সে ভালবাসে আমারে
তাঁর নিজের চেয়েও বেশি আপন করে।
আমিও ভালবাসি সত্যি ভালবাসি তাঁরে
আজও আগের মতন করে।