ভেবে ছিলাম হারিয়ে যাবো
কিন্তু কে তুমি সামনে দাড়ালে?
হলো না আমার আর হারিয়ে যাওয়া
তোমার জন্য আবার লোকালয়ে,
পাষাণে ঘেরা এই জনপথে ফিরে আসা।
তোমাকে প্রথম দেখার পর মনে হয়েছে বারবার
কেন পাগল হয় মানুষ না পাওয়ার ব্যাথায়?
কেন দিতে চায় পাড়ি সুমদ্র, বুকে নিয়ে ভালবাসা?
কেন লিখে ছিলেন বনলতা সেন কবি জীবনানন্দ দাশ?
কেন হয়ে ছিলেন কবি নজরুল বিদ্রোহী?
কেন-ই-বা কবি গুরু প্রেমের পূজারী?  
কেন হয়েছিল ধ্বংস ইটালীর টয়?
কেনইবা মানুষ মৃত্যুর মুখোমুখি হয়?
কেঁদে কেঁদে কেনইবা শ্যামের বাঁশি রাধার কথা কয়?
চাঁদের আলো ফিকে হয় তোমার রূপের আলোয়
জোৎস্নামাখা বদনখানি তোমার, টানে ভালবাসার মায়ায়।
চুল তোমার মেঘমালা, পাহাড়ী ঝর্ণা ধারা ঐ চেয়ে রয়
শিশির ধোয়া তোমার অধর যেন গোলাপ কলি
চোখ তোমার যেন উদাস করা শরতের আকাশ, স্বপ্ন যেথায় আঁকি।
কি যে সুখ নিদ্রা ঐ হিজল তমালের ছায়
দেখলে তোমার মুখের হাসি, হারিয়ে যায় মন দুরের কোন গাঁয়।
শান্ত দীঘির শীতল জলে নীল কমল ভাসে
তুমি হাসলে তোমার সাথে ফুলেরা হাসে।
তটনীর স্রোতধারা তোমার দেহের ভাজে ভাজে,
রংধনুর সাত রঙ্গে কে ঐ সাজে?
সেই তোমাকে ছেড়ে বল কোথায় আমি যাই।