বয়সের ভারে চলা আমার দায়
হায় ক্ষুধা! তোর কারণে মানুষের কাছে হাত পাততে হয়।
ছেলে-মেয়ে; স্বামী-স্ত্রী আর সন্তান নিয়ে নিজ সংসারে ব্যস্ত
আমি বুড়ি ঘাটেরমরা, পেটের দায়ে অন্যের দারস্থ।
ছেলে দেয় না ভাত, বড় অভাব তার সংসারে
অভাবই যদি বাঁধা, কি করে এই রক্তমাংস ঐ শরীরে?
ওদের তো চলছে দিব্যি, আমি বরাবরই বেশি
মা দিবস, বাবা দিবসে কেন তবে ওদের এতো ভালো বাসাবাসি?
ভালবাসা যত, যত আদর মমতা থাকে শুধু বইয়ের পাতায়
হায় নাড়িছেঁড়া ধন, একবারও নেয় না খোঁজ মা কি খায়?
বুকের পরে মাথায় করে করেছি লালন,
সন্তান আমার যেন সাত রাজার ধন।
মায়ের খবর নাই-কো ওদের, হাজার কষ্টেও কাঁদে না পাষাণ প্রাণ।
ভালো থেকো বাছা আমার,  নিও না আর মায়ের খোঁজ
তোমার সুখের তরে বিধাতায় এই দোয়া-ই করি রোজ।
আমি অনাদরী, অনাহারী, তোমার সন্তানেরে রেখো সদাই সুখে
আমার সমস্ত দিয়েছিলাম তোমায়, মরণে পানি দিও না তুমি এই মুখে।
তবুও জান্নাতের দাবি রইলো তোমার,  মোনাজাত ঐ বিধাতায়
আমার বুকের ধন, মানিক রতন ভালো থাকো তুমি সবর্দায়।