কপাট
তুই আজকাল একা একাই খুলিস নিজেকে
খুলবি-ই না বা কেন
তোকে তো আজ আর খোলার কেউ নাই।
যে ছিল একজন,
সে তো আজ অন্য তেপান্তর।
তোর শুধু দাড়িয়ে থাকা, অন্ধকার এই ঘর।
আমি যাওবা একটু আকটু মাঝে মধ্যে তোকে খুলি
খুলবই বা কেমন করে?
তোর সামনে দাড়ালে তো।
সেই যে যেদিন অহনা, আমাকে আর তোকে
একা, জনমের একা করে,
হারালো দুরে, দৃষ্টির অনেক অনেক আড়ালে।
আমি সেদিন দেখেছিলাম তোর চোখে
শ্রাবণের কালো মেঘেঢাকা অন্ধকার আকাশ।
মাইরি সত্যি, আমি হতবাক তোর ভালবাসায়,
আমি অবশ্য সেদিন কিছু বলতে পারিনি।
বলবোই বা কেমন করে
আমার কি আর বলার ভাষা ছিল
যা কিছু বলার সবইতো বলেছিল অহনা।
তুই আর আমি শুধুই নির্বাক দর্শক
বুকে পাহাড়সম যন্ত্রনা।
আচ্ছা তু-ই আমাকে বল
কি-ই-বা এমন বলেছি আমি?
ভালবাসায় কি এই সামান্য কথা থাকতে পারেনা?
তারপরও কত করে বোঝালাম
ক্ষমা করো গো আমায়।
তু-ই বল মানুষ কি ভুল করে না?
তাই বলে কি আমার ভালবাসার কমতি ছিল?
জানি না কেমন আছে সে
কেমন তার চারিপাশ বর্তমান?
আমি কেমন? সে তো তোর অজানা নয়।
তুইও যেমন একা নিশ্চুপ
আমিও দাড়িয়ে তাকিয়ে দুর নীলিমায়
ভাল থাক্ তুই, আর . . . . . .
আমার বুকে যন্ত্রনারা বেড়ে উঠুক
একট একটু করে।