আমি যদি নব্বই এর মাঝি হতাম-
সারাদিন নৌকা নিয়ে ঢেউয়ের সাথে খেলতাম।
মাঝে মাঝে গান গাইতাম, সন্ধ্যা হলে বাড়ি ফিরে যেতাম।


যদি নব্বই এর কৃষক হতাম-
সারাদিন রোদে পুড়ে ধান ফলাতাম,
সন্ধ্যায় বউ এর হাতের পিঠা আর সকাল সকাল ঘুমিয়ে যেতাম।


আমি যদি নব্বই এর একজন হতাম-
বাবা হয়তো বেরিস্টার বানাতো, চলে যেতাম বিলেত।
মোবাইলহীনা দিন কাটাতাম, পাশের মাঠে খেলা করতাম।
কোকিলের শব্দ আর নীল আকাশ কে আপন করে নিতাম।


আমি নব্বই এ ফিরে যেতে চাই-
একজন প্রেমিকার জন্য।
মাঝে মাঝে চিঠি আদান-প্রদান হতো,
অপেক্ষার প্রহর গুনতাম।
সে হয়তো সারাদিন আমাকেই ভাবতো,
নিছক ফেসবুকের নিছক বিষয় না নিয়ে।


মাঝে মাঝে আলতা আর চুরি কিনে দিতাম,
খুশিতে লুতুপুতু হয়ে, ভালোবাসা উজার করে দিত।
সে হয়তো একুশ শতকের প্রেমিকার মত হতোনা,
" অল্পতে খুশিনা, সংসারে মন বসেনা। "
আমি নব্বই শতকে ফিরে যাব, আশির দশক হলেও মন্দ না।


যতই হোক প্রকৃতির কাছে থাকতাম।
মামা বাড়ি আম কুড়াতাম,
চাঁদের বুড়ির গল্প শুনে ঠাকুমার কাছে যেতাম।
শাকচুন্নি-পেত্নির ভয়ে সন্ধ্যা বেলা নাইবা বেরুলাম।


আমি হয়তো ভূল সময়ে জন্মেছি,
তাই বার বার নব্বই এ ফিরে যেতে চাই।
রবীন্দ্রনাথের সদ্য কবিতাগুলো পড়তে চাই,
কাজী নজরুলের কবিতায় রক্ত গরম করতে চাই।
২১শে ফেব্রুয়ারির স্লোগান দিতে চাই,
নতুবা ৭১ এ রক্ত দিতে চাই।
আমি হায়না দেখতে চাইনা, ৭১ এর বীর দেখতে চাই।
হয়তোবা এইজন্যই বার বার নব্বই এ ফিরে যেতে চাই।