একটা ড্রেইনের আত্মকথা লিখব বলে
কলম হাতে অনেকক্ষন,
উৎস কোথায়,  কোথায় মোহনা  
জোয়ার কবে, কবেই বা হয় ভাটা
হয়নিতো জানা!
তবুও ইচ্ছে লিখব ঘটনা ;
এই ড্রেনেরই বুকে ঘুমায়
লক্ষ কোটি ভাইরাস অজানা,
বসত করে সুখে দুখে কত আবর্জনা
কেউ উদবাস্তু,  কারোর আবার
স্থায়ী ঠিকানা।
এই খানে এই নিরাপদে
কুকুর বিড়াল মিলেমিশে
খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে,
বস্তা পাগল বাদ সাধে
নর-পশুতে ভেদ ভুলে
বসায় থাবাখানা।
শ্রাবণী পূর্ণিমা রাতে
মশার বাড়ির বিয়েতে
অজুত নিজুত আত্মীয়তা,
ডেঙ্গু ভৃঙুর  ভূরিভোজে
ধোঁয়া যন্ত্রের আনাগোনা  
পৌরসভার যন্ত্রনা।
এই ড্রেনেতেই কখনো
শোনা যায় কান্না,
নিষ্পাপ সদ্যোজাত
অথবা নিষ্প্রাণ ভ্রূণের মত
কিংবা  লাল রক্ত
খুনি অচেনা।
ভাঙ্গা-গড়ার হৃদয় বিদারক
হলোনা আত্মকথা,
প্রতিদিন ভোরে সুন্দর সাজ পোশাকে
সেবাশুশ্রূষা করে যায় রমনী
হিসেব রাখে পুরপিতা,
সাক্ষী হাজারো হাসি-কান্না।