রোজ সকালের বারান্দায় নিয়ম করে
ধূমায়িত কাপ, চায়ের সাথে রক্তপান
শেষ হতে না হতেই হাতের কাছে শূন্য থলে  ;  
সময়ের তাড়া যেন তোমার আমার ভোরের বিছানা
রাত পোহালো বলে!
বাজারের গলি গলি দাম কষাকষি
কখনো মানিব্যাগের তলায় খোঁজ
খুচরো পয়সায় ধনেপাতাওয়ালা মুখ ভ্যাংচায়,
দুটো পাতা বেশী দেয় স্যার স্যার বলে।  

মাস শেষের আগেই অসার মানিব্যাগ
আমার বিকেলের হাত-পা গুলোর মতো
বাজারের থলেটার ক্রমশঃ ওজন বৃদ্ধি পায়
পত্রিকার ধর্ষনের খবরের মতো ;
আমার মনে পরে যেদিন গোপনে গেছিলেম
শিলচরের গলিতে ; পরের দিনের
পত্রিকার পাতায় আমাকে অবাক করে
হাতে গোনে চারটি অপরাধের খবর ছিল।
শূন্য থলে গুলো আজকাল বেশ রসালো বটে
গিন্নিদের হাতে হাতে সকালে বিকালে
সস্তার বাজারে স্বামী, অন্যরা শপিংমলে  
তবুও খাই বুজি কমে না পন্যে
রক্ত চাই দেহ চাই ওদের,  গোপনে গোপনে।
পাঠ্যে যখন বনলতা সেন মাঠের কোনে তুমি
আকাশের কোনে কালো মেঘের ঘনঘটা
ঠোঁটে ঠোঁটে বিদ্যুৎ ঝলকানির আশংকা
তখন কি মনে ছিল এসমস্ত ন্যাকামি,
"সংসার, সমাজ, স্টেটাস, অবক্ষয়,
সংস্কার,  ভালোমানুষি। "  
শূন্য থলে'রা ঘুরে বেড়ায় ঘরে ঘরে বারান্দায়
আমাদের হাতে হাতে থলের ভেতরে মুখ লুকায়
গোলবাজার, প্যারাডাইস চোমুহনী
সকাল বিকেল সন্ধে হিসেবের বটতলায়,
আম্বা - সাম্বা -ত্রিং দামী রেষ্টুরেন্ট
অথবা সোনারতরী পাঁচতারায়।
শূন্য - পূর্ণ'র খেলা শেষে বাড়ির আঁচিলে  
অনাদরে অবহেলার বসবাসে প্রতিবেশী
আমি এবং আমার শূন্য থলে।