আমি সন্ধ্যা রাতে ঘুমিয়ে থাকি
মধ্যরাতে জাগি;
অনেক সুবিধে -


রাত নিঝুমে পাখি ডাকে
শেয়াল গোনে প্রহর,
তারা'রা কেউ চোখ বুজে না
আকাশ নিরন্তর।


মধ্যরাতে কান পাতলেই
শুনি আর্তনাদ অনন্ত
পাশের বাড়ির বুড়িটা  কাঁদে
যন্ত্রনা অবিন্যস্ত ।


একদিন হঠাৎ রাত দুপুরেই
ঘুম - ধরাম শব্দ,
ওই পাড়াতে বোম পরেছে
নেতা ব্যাটা জব্দ।


পরশু রাতে সেন বাড়িতে
বিরাট গন্ডগোল
মৃগাঙ্ক বাড়ি ফিরেছে
সঙ্গে নেশার রোল।


কাল রাত্তিরে নিরবে
চলে গেলো সুধা,
কি করবে! জোয়ান দেহে
তার যে বড় ক্ষুদা।


সেদিন রাতে ঘুম ভাঙলো
চিৎকার চেচামেচিতে,
গরু চোর পালিয়ে গেছে
গরু গোয়ালে দড়িতে।


শুক্রবারের রাতটা বড়ই
দুঃখের ছিল পাড়াতে
অশীতিপর লোকটা মরল
রাত পোহালো পোড়াতে।


তিন প্রহরে প্রায়ই শুনি
হাড়ি বাসনের টুংটাং
জুলির মা রান্না সারেন
কর্ত্তা ভোরে খান।


একদিন তো হতবাক
ফিসফাস কথা শোনে
বুজতে একটু সময় নিলেও
পরকীয়া ঘরের কোনে।


নাথ বাড়ির ব্রিলিয়ান্ট ছেলে
ঘুমায় কখন জানিনা,
সারারাত জ্বলছে আলো
ম ম করছে আঙিনা।


খড়ের গাদার তলায় একটা
সারমেয় ঘর বেধেছে,
বাচ্চাদের চেঁউমেউকেউ
সারারাত ধরে চলছে।