দেহাতি চায়ের দোকানগুলো
বরাবর-ই নষ্টালজিক,
কেউ সেখানে মন্ত্রী বানায়, তো কেউ প্রধানমন্ত্রী,
গরম চায়ে চুমুক দিলেই পাল্টে যায় নীতি ।
সকাল সাতটায় গরম চা, সঙ্গে একটা লুচি
দু-চারটা গরম খবর আর সারা দিনের সূচি,
এভাবেই বাঁশের মাচান দিনে দিনে ক্ষয়
এখানেই হরিচরণ চল্লিশেই বিজ্ঞ হয় ।
বিকেল সারে তিনটেতে চটের বিছানায়
ইস্কাবনের টেক্কার সাথে লাল পান বিবি মানায়,
চায়ের কাপে চুমুক দিলেই বিবেক সারা দেয়
নমঃ ব্যাটার শ্রাদ্ধের টাকা ঠিক জোগাড় হয় ।
আশালতা বৌ-এর সাথে চুলাচুলি করে
হেরে গিয়ে বিচার চায় চায়ের আসরে,
নারায়ন সিং-এর বিড়ি শেষ তাই বিকেলে
চারটে চালতে বেচতে এলেন এই ভূগোলে ।
দোকানি খুচরো নিয়ে ঝগড়াঝাঁটি করে
বিস্কিটের দাম ছেড়ে দেয় অভিমানের সুরে,
মাস্তানির প্রথম টার্গেট এই চায়ের দোকান
এখান থেকেই উঠে আসে গাঁয়ের প্রতিভাবান ।
সকালের দরাদরি দেহের শক্তির লেনদেন
বিকেলের দরাদরি গোপন টাকার নিদেন,
দেহাতির দেহ খানা চিরদিন-ই কঙ্কাল
একটা ভাঙ্গা টুল আর পলিতিনের চাতাল ।
দেহাতি চায়ের দোকানগুলো
বরাবর-ই হয় নষ্টালজিক,
চা খাওয়াটা মুখ্য নয়
সমালোচনায় সামাজিক ।