কই গেল গো সেই সকাল, দেরী হল বলে
সারাটা দিন ব্যস্ত ত্রস্ত রোদে দেহ গলে ।
জলখাবারের সময় নেই জল হতো খাবার
আসছে মানুষ যাচ্ছে মানুষ, সামলানো ভার ।
কেউ বা এল ফেউ দিতে কেউ বা বন্ধু সুজন
সকাল সন্ধ্যা কাজের ধান্দা ভীষণ দূরে দুজন ।
বছর পূর্তি আমোদ ফুর্তি জোড় করে আদায়
দায় দায়িত্ব ভুলেই ছিলাম জীবন যুদ্ধের ধাঁধায় ।
ঠোঁটের কোনে তিল ছিল না চোখের তলায় কালি
অনদেখা সব খুঁজত শুধু সুখের চোরাবালি ।
এখন সন্ধ্যা ভীষণ বন্ধ্যা আতঙ্কে  গৃহবন্দী
যখন তখন শব্দের চাষ বিরক্তির সাথে সন্ধি ।
বিস্বাদ আরামের স্বাদ অভিজ্ঞতার ইতিহাস
প্রজন্মের ওপারে শতাব্দী করবে তো বিশ্বাস !
মুক্ত আকাশ মুক্ত বাতাস মুক্ত পশুপাখি
খাঁচায় বন্দী মানুষ এখন মৃত্যুর মুখোমুখি ।
ইতিহাস নেই শত্রুর নেই যুদ্ধের দামামা
নিরস্ত্র মানুষ লড়ছে নিয়ত করছে তর্জমা ।
স্বজন হারার হাহাকার মৃত্যুর মিছিল দ্বারে
অদৃশ্য শক্তির আতঙ্কে অস্পৃশ্যতা বাড়ে ।
যা কিছু ধন ছিল সঞ্চয়ন লক ডাউনে পরে
অদূর ভবিষ্যৎ বাড়ন্ত সব বিভীষিকা গ্রাস করে ।
ক্যালেন্ডার সাত বার জোয়ার ভাটা লগ্ন তিথি
ক্যানভাস কবেকার বৃথাই ধ্যানে মগ্ন অতিথি ।
ভোর হবে ভোর সোনালী ভোর সেই প্রতীক্ষায়
প্রহর গুনি নির্ঘুম চোখে মৃত্যুদ্যূতের সমীক্ষায় ।
সোনার ফসল ফলবে মাঠে চলবে চাকা কাড়খানা
প্রাণচঞ্চল প্রানে মানুষ গড়বে আবার দেশখানা ।
এই স্বপনে রং মেখে রোজ নীল আকাশে রংধনু
দিন কেটে যায় দিনে দিনে, হাসে সময়ের অনু ।