বলছিলাম সেই সে দিনের কথা,
ঘটা করে বিয়ের বৌভাতে বাবা আমার
খরচ করে দিয়েছে সব পণের টাকা,
অতঃপর ব্যাবসার মন্দা
অ্যালকোহলের আসক্তি
তারও পরে লাবনীর ঠিকানা
আমার যাপিত জীবনের বর্তমান ইতিকথা ।


ছেলের দুর্ভাবনা এবং মধুমেহ
অকালেই পিতার যাত্রা হলো শুভ,
মায়ের সাথে মিলে মিশে যাপিত জীবনে
কোনদিন এতটুকু সুখ দেখেনি যে মুখ,
প্রায়শঃই পকেটখরচ আমায় দেয় ঋণ ।


বলছিলাম,
সেই সে নিপীড়িতার আত্মকথা,
এক বুক ভালোবাসা এক আকাশ স্বপ্ন
ঘর বেঁধেছিল যৌবনে,
সূর্যের প্রখরতা জ্ঞানে বাঁধা যার ,
জ্যোৎস্নার স্নিগ্ধতা ছিল যার ধ্যানে
আজ সে নুব্জ্য সংসারের টানে ।


তবুও সে রোজ নিয়ম করে
সকালের স্নান সেরে তুলশী'তলে
আকাশের দিকে চেয়ে থাকে একদৃষ্টে
-"উদাস গগন উদারতা দাও
   ধৈর্য দাও সহিবার,
   যত খুশী দাও ভার
   শক্তি দাও বহিবার ।"


বলছিলাম,
সেই সে নারীটা'র শেষটুকু শোনবেন না !
ভাত কাপড় হীন খোলা দরজার খাঁচা
দিনে দিনে জীর্ণ শীর্ণ হয়,
যখন অভাবের হাল খাতায় লেখা থাকে না আর
মা-বাবা'দের নাম
নাড়ির গিঁট খোলে দেয় নিঃসন্তান,
ঠিক সেই সময়ে লাবনীর ঘরে যদিও পিদিম জ্বলে
নিভে যায় নিপীড়িতার,"চন্দ্র-সূর্য" ।