এলোকেশী বিনোদিনী      কির্তনীয়ার নন্দিনী
                ব্যকুল বিহ্ব্ল রাই শোকে ,
কালাচাঁন বলে কাঁদ        ফুল তোল মালা গাঁথ
                রাখ মাথা আমার বুকে ;
নিঝুম রাতে প্রহর গুনে        শুক সারি গান শুনে
          বিরহ জ্বালায় বিচ্ছেদ সুরে,
গলে শোভে তুলশী মালা      সদা মুখে কালা কালা
          ক্লান্ত দেহ এলায় আমার ক্রোড়ে ।
কদম তলে দিঘীর জলে     গোপীগন দোলে দোলে
             বাঁশীর সুরে জলকেলী করে,
দিবাস্বপ্নে বিভোর হয়ে     উদাস প্রানে কলসী লয়ে
              যাও সুদূরে যমুনা পাড়ে ;
শাশুরী ননদ ফাঁকি দিয়ে  স্বামীর দ্বারে খিল দিয়ে
              কৃষ্ণ প্রেমে চুপিসারে,
বসন্তের সুর তালে       কূজন খোঁজ ডালে ডালে            
               আম্রকুঞ্জে ভর দুপুরে ।
নাওয়া খাওয়া ত্যাগ করে   মায়াজাল ভেদ করে
                   ছাড়লে স্ংসার,
  লজ্জা ভয় ঘৃণা ভূলে      আমার ঘরে ঠাঁই নিলে
                   সখী তুমি কার !