সেই ছেলেটা,
যার হাসিতে উঠত জোয়ার ফল্গু নদীর ধারায়
দখিনা বাতাস দামাল হয়ে উত্তরে মুখ ঘোড়ায় ,
ঘন মেঘ কালো রূপের বজ্রনিনাদ হারায়
ঘর্ষিত মেঘ অবর্ষিত আকাশেই চমকায় ।
যে ছেলেটা,
হুঁল ফোটিয়ে পাগলা ষাড়ের ল্যাজের মাথায়
উড্ডীয়ান খেচর ধরে খাঁচায় পোষ মানায়,
হাজার কথার ফুলঝুড়িতে বাজাড়ের ভীর জমায়
বাঁকা চোখের চাহনিতে প্রনবেনীর মন জুড়ায় ।
যে ছেলেটা,
মায়ের ক্রোড়ে ভাতের গ্রাসে হাজার প্রশ্ন করে
অধ্যয়নের মাত্রা দিয়ে বাবার প্রাণ ভরে ,
হাওয়ার আগায় দড়ি বাঁধে আচার্য্যের শিরে চরে
কালনেমীর লংকাভাগে দক্ষ যজ্ঞ নিত্য করে ।
সেই ছেলেটা,
আজকে উদাস পুর্নিমা রাত জ্যোৎস্না স্নাত
রিক্ত হৃদয় সিক্ত আঁখি কন্ঠ করূন উদার্ত,
জ্ঞান চোখে ধ্যান করে প্রেমিকা অপব্যয়িত
সূর্য্য উঠে অস্ত যায় পৃথিবী কক্ষ্চ্যূত ।।