স্বজন বলতে অল্প কয়েক জন
আমার আর আমার স্বামীর বন্ধু - বান্ধবী,
রাতের নির্ঘুম চোখের পরিজন
প্যারিস লাগানো ছাদের আরশোলা -টিকটিকি ,
পাঁচ তলার ছাদের কোণে সুদৃশ্য বেদীর তুলশীতলা
বেলকনিটায় ঝুলিয়ে রাখা ফুলের টবে
ইদানিং বাসা করা সাদা সাদা পায়রা,
দুধওয়ালার আঙুলের চাপে কথা বলার কলিং বেলটা
দক্ষিনের জানালার ওপারে আকাশটাতে রঙীন ঘুড়ি
আর ঘড়ের দেয়ালে লাগানো সুদৃশ্য দেয়াল ঘড়ি
টিকটিকির সত্যতার বুলি, ঘড়ির টিক্ টিক্ ই
আমার এই ফ্লেটের একমাত্র সঙ্গী ।
মিনিট দশেক পরে পরে দক্ষিন থেকে উত্তরে
উর্দ্ধমুখী নানান রঙের বিমানে বসে থেকে যাত্রীরা
দেখে যায় আমার এপার্টমেন্টের ছাদে বসানো টাওয়ার
চেনা রা চিনে রাখে ফোনে জানায়, আমি খূঁজে পাইনি কোনদিন ।
মাঝে মধ্যে অপ্রত্যাশিত কিছু সেলস্ ম্যান
কলিং বেলে কথা শোনায়, দয়া করে দড়জাটা খুলবেন কি ?
কলাপসেবলের দেয়াল চোখাচোখি হতে দেয়
দামী সব পারফিউমের গন্ধ শূঁকতে দেয়নি কোনদিন ।
আরো কয়েকটা বিবাহ বার্ষিকী না গেলে নাকি
এক্ষুনি সন্তান নেয়াটা স্ট্যাটাসে মানায় না,
রাতের পার্টী মিস করা চলবে না - বসেদের খুশী রাখতে ।
স্বামীর অক্লান্ত পরিশ্রমের প্রমোশনটাই এখন আমার
বহু প্রত্যাশিত প্রবাসী স্বামীর স্বপ্নের রাতদিন ।