আজকাল যে আর আগের মত হয়না ভরা বৃষ্টি
নদীর স্রোত ম্লানায়-মান একি অনাসৃষ্টি !
পাহাড় কোলে মেঘ বসেনা, বরফ গলিত
রংধনু না রাঙ্গায় আকাশ, জগৎ অস্নাত ।


কাঁঠাল গাছে কাঁঠাল নাই, আমে আমে পোকা
এখনতো স্বপ্নের মত লিচু থোকা থোকা ।
সোনাঝড়া হলুদ রঙের চিরল পাতার খেজুর
যায় না দেখা ডালে ডালে কাঠবিড়ালীর লেজুর ।


বানের জলে ঘর ভাসে না, প্রখর রোদের খরা
কলা গাছের ভেলায় সাতার, এখন বিস্ময় ভরা ।
লাই খেলার দিন হারিয়ে গেল, জমি স্যাঁত স্যাঁতে
গুলের ডাক যায়না শুনা , জলাধারে কান পেতে ।


ব্যাঙে সাপে মিত্র হয়ে থাকে খালের পাঁকে
মাছেরা বিলুপ্তপ্রায় , চাষের গুনে রয় টিকে ।
মানকচূ আর মাথায় চরে না অঝোর বৃষ্টিপাতে
মাঝিমাল্লার ভাউয়াইয়া গান শুনা যায়না রাতে ।


বৃষ্টিরা সব তলিয়ে গেছে ব্যাক্তিস্বার্থের তোড়ে
ধরিত্রী মা ঘোঢ় সংকটে দূষনের সংসারে ।
আমরা সবাই মানুষরে ভাই সর্ব্বশ্রেষ্ঠ জীব
এখুনি না ধরলে হাল পৃথ্বী হবে নির্জীব ।


তাইতো বলি সবাই মিলি চল গাছ লাগাই
জল অপচয় বন্ধ করি, সবুজ মাঠ বাঁচাই ।
দেখবে ভূবন শিখবে জগৎ ভবিষ্যতের তরে
প্রকৃতির আপন লীলায় শ্বাস নেব প্রাণ ভরে ।