আহা রাম রাম রাম, রাম রাম রাম্
অপরাধ ক্ষম মাগো লহি তোমার নাম ।
মনসা মঙ্গল ধ্বনি , পদ্মার গুন গান
চারিদিকে অবিরত বাদ্যের সঙ্গে তান ।
শ্রাবন ধারায় বান ডেকেছে চলছে অবিরাম,
রাত দুপুরে, ভোরের শেষেও নেইকো বিরাম ।
বন্দনাতে উলুধ্বনি, আসর শেষে চা বিরতি
বিরহ বিচ্ছেদে যতি, লক্ষীন্দরকে বাচায় সতী ।
বেহুলার বিলাপে কাঁদে, হাসায় চাঁদের বিড়ম্বনা
যমালয়ে জীবন্ত যায়, সতী লক্ষী  বীরাঙ্গনা ।
রামু কাকা মৃদঙ্গ বাজায়, চন্দনে করতালি
লক্ষীপিসী দোহা দেয়, কাজলী দেয় হাততালি ।
নিখিল দা সারে সাতে চড়ায় সুর হারমনিতে
খন সঙ্গে সঙ্গ দেয় , কনসার্ট বাজায় বাঁশীতে ।
শ্রোতার ভীড়ে নন্দিতারা চিমটি কাটে তালে তালে
প্রদীপ সুখেন গাঁজা টিপে পুকুর পাড়ে ক্ষেতের আলে ।
চার আসরের চারটি মাইকে মনসা যখন প্রায় তুষ্ট
ভিমরী খায় পাঁচু খোড়া,  শব্দ থামে ,আনন্দ হয় নষ্ট ।
পড়ায় বসে পাড়ার ছেলে লক্ষন কাঁদে টেবিলে
বুড়ো দাদু গোঙগায় একা, পাশের ঘড়ে ছেলে ।
আজ মনসা, কাল পদ্মা পরশু হবে লক্ষী
এই করে কি বাঙ্গালীরা হয়ে  যাবে সুখী ?
বারো মাসের তেরো পার্ব্বন সঙ্গে আরো নানা কারন
অনুষ্ঠানের সদাচারে সময় কাটায় অবিচারে অতি দরশন,
লভিতে সুখ বাড়ে যে দুখ খরচার সুকৌশল
হানিছে জাতির ভাবী প্রজাতি ধাইছে অনল,
ম্লেচ্ছ জাতি আজি পাইছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি
উন্নত শিরের বাঙ্গালী মোরা আগুলি আছি স্মৃতি ।
শ্রাবণী কহে ডাকি উহে হিন্দু মুসলীম বাঙ্গালী
আবেগ ছাড়ি সবল দেহে হও উপার্জনের কৌশলী ।।