(আমার বয়স যখন ১৬/১৭, তখনকার সময়ের যে খাতাটি খুঁজে পেয়েছি তার থেকে কিছু কবিতা লিখতে গিয়েও থেমে যাই , কেননা কাঁচা হাতের লেখাগুলো মাননীয় পাঠকবর্গের মনে আদৌ ঠাঁই পাবে কিনা তাই নিয়ে সংশয় মনে আজকে আর একটি কবিতা প্রকাশ করার সাহস করলাম )
১) হাসির প্রকার
হাসির নাকি প্রকার আছে
জানায় হাসিরাম ।
তিন প্রকার হাসির নাকি
রয়েছে সুনাম ।
এলাচী - দারূচিনি
আর গুয়ামসুরী,
প্রথমটাতে শিশু সেরা
বৃদ্ধরা দ্বিতীয়ে,
তিন নম্বরটার এক্কে বারেই
শুধুমাত্র কিশোর কিশোরীর ।
আরেক প্রকার হাসিরও
করেছে আবিষ্কার,
সেখানেও তিন শ্রেনী
স্বমহিমায় সাকার ।
বুজের হাসি হাসে একদল
আরেক দল অবুজে ।
সব কথাতেই হাসার জন্য
অন্য দল মাঝে ।
এত সব হাসির কথা
বলে হাসিরাম ,
নিজের হাসির প্রকার খুঁজতে
ব্যস্ত অবিরাম ।
২) কান্নার সুর
কান্নার অনেক সুর
এক নতুন আবিষ্কার,
তার সাথে সৃষ্টি করলেন
নানান সুরের প্রকার ।
অনেক প্রকার কান্নার সুর
চিকন - মোটা - মিষ্টি,
শেষ হবেনা গুনে লিখে
কান্নার সুরের সৃষ্টি ।
কেহ কাঁদলে ইচ্ছে করে
হতে সঙ্গিনী ।
হাসি পায় কাঁদলে কেহ
হয়ে দুঃখের ঋনী ।
কারোর কান্নায় মুক্তো ঝরে
দেখতে শোভা পায়,
কাঁদলে কেহ আশ্বাস পায়
দুঃখের দুনিয়ায় ।
কারোর কান্নায় মেঘ ঝরে
নামে অলক্ষনের বৃষ্টি,
কান্নার সব সুর যত
কেন্নারামের সৃষ্টি ।।