শুন শুন মাননীয় পাঠক যত , শুন দিয়া মন
আজিকে ফের বিশদ কাব্যের কাবেরীর কথন ।
কাবেরী শান্ত শিষ্ট, চিকন দুষ্ট চালে অল্পভাষী
কৃষ্ণা যেমন চঞ্চলমনা , কাবেরীর নাই হাসি ।
কাজের কথায় মুখ খোলে সে নীরবে চোখ তোলে
বয়োজেষ্ঠের সন্মান করে , স্নেহে শিশু লয় কোলে।
মায়ের ডাকে সদা হাজির বাবার ক্লান্তির ঠান্ডা জল
প্রিয় শালী ভগ্নীপতির বিতর্কে রয় নিশ্চুপ নির্দল ।
দুই বোনের সংসারেতে হঠাৎ একা দিন কাটে
সকাল সন্ধ্যা মায়ের সাথে ফায় ফরমাসে খাটে ।
বিদেশ থেকে ভগ্নীপতি আই এস ডি কল করে
এদিকে তাপসদা রোজ ম্যাসেজে ইনবক্স ভরে ।
এরই মাঝে বাবা আবার পাত্র খুঁজতে ব্যস্ত
কাবেরীর আবদারে বিয়ের কথা বন্ধ আপাতত ।
উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখে রোজ কলেজ করে
ঐদিকে তাপসদার খোঁচা দাড়িতে গাল ভরে ।
অবশেষে অনেক ভেবে মাঝদুপুরে একদিন
তাপস - কাবেরী পালায়  স্বপ্ন দেখে রঙ্গীন ।
বিয়ে করে অনেক দুরে নিভৃতে ঘর বান্দে
মোচর লাগে বুকের ভেতর অচেনার ছন্দে ।
তাপস দা একে বেকার তার উপর নতুন
ঘর সংসারের ব্যয় জোগাতে জ্বলেনা উনুন ।
কৃষ্ণা কাঁদে বরের শোকে কাবেরী অভাবে
দুই বোনে দুই দেশে বাঁচে দুই ভাবে ।


..............................ক্রমশঃ ।