হুতুম প্যাঁচার কু কু ডাকে শিহরন জাগায় বুকে
আবার কোন আসছে কু ! কি আর বাকী রইল !
ত্যানা পোড়ায় আমার স্ত্রী ভাগায় কু এর অভিসারী
ঘটিতব্য হাসে অন্তরালে ।


ধন গেল জন গেল মান অভিমান বিহনন
ক্ষ্যাপা বাউল রাগ অনুরাগ স্মৃতির  বিস্মরণ,
শীর্ণ জীর্ণ অবশিষ্ট দুইটা দেহ হাতের শেষ যষ্ঠি
বৈরাগী মন ভাসে উদাসে ।


বানভাসিতে জন গেল নদীর ভাঙ্গনে জমিন
অভাব দোষে স্বভাব বশে অপমানের দিন,
কৃষ্টি গেল সৃষ্টি হল অবক্ষয় শিরে কুম্ভধারন
বেহাল দেহ ভাঙ্গে বিবশে ।


কালের চক্রে স্বামী স্ত্রীতে এক কাপরে দিন কাটে
কষ্টের যোগান বাতিল হয়ে দয়ার পরবশ হাটে
এক টুকরো কাঠ আলুতে উদর পুর্তি নিঃশেষে
ছেঁড়া কাঁথার বিছানাতে রাতের জ্যোৎস্না হাসে ।


তবুও হৃদয় কাঁপে ভয়ে জীবন নদীর স্রোতে
আর যেন না দেখা হয় শ্মশানের মুখাগ্নিতে,
সর্ব্বহারা পাষান হৃদয় তবুও আয়ূ মাগে
স্বপ্নে বিভোর বড়ই নিষ্ঠুর কালনেমির লঙ্কাভাগে ।