আমার গ্রামে এসো,
         এই গ্রামেতে বসত করি আমি অভাগা
         গ্রাম শহরের মধ্যিখানে নতুন ভাললাগা ,
       শীতল বনের ছায়ে ছায়ে নিঝুম দুপুর কাটে
       চষে বেড়ায় লাঙ্গল চাষা এই গায়েঁরই মাঠে ।
      সীমান্তের ওই হাইওয়েতে হাজার গাড়ীর ভীড়
     মাঝগ্রামেতে আমার বাড়ী নিঃশব্দ সুখের নীড়।
পাখির গানে রাঙা ভোরে যায় দেখা যায় পথের পায়চারী
মেদ কমানোর লোকের ভীড়েই আছে অনেক অনাহারী,
    কাঁসর ঘন্টার পূজোর ঘরে মাইকের আজান ভাসে
  গীর্জায় ফাদার প্রার্থনা করে জাত বেজাতে অনায়াসে ।
আমার গ্রামে এসো,
      মনমোহিনী বনফুলে কিশোরীর কেশ বিন্যাসে
      মুগ্ধ হৃদয় উদাস হয় সজল সরল বেশ আবেসে ,
এই গ্রামে হাজার নারীর ব্যাস্ত সকাল চাকরীর রোজনামচায়
সন্ধ্যা নামে লাইব্রেরীতে চা কফির জ্ঞ্যান গম্ভীর আড্ডায় ।
আঁধার রাতে মদের রেশে ঘরে ফেরে বাউল গায় পথে
ঝুপরিতে ষোড়শীর খদ্দের কূপির আলোয় দর কষে রাতে ।


আমার গ্রামে,
    স্বগর্বে বসত করে উকিল ডাক্তার ইঞ্জিনীয়ার
    যূগ যূগের পৈত্রিক ভিটায় তাঁতী কামার কুমার,
    বৈচিত্রতায় মনে হয় এ যেন এক ছোট্ট দেশের ছবি
   তবুও সুখ পায়না খুঁজে মানবতার লেখা লেখে কবি ।