একটি বিবসনা উষ্ণ রাতের উপসংহারে যদি
সোনালী ভোরে জানালার কাঁচ বেয়ে ঘরে আসা দিবাকর
খোঁজে পায় মখমলের অগোছালো বিছানা,
অবিন্যস্ত কেশের অর্ধনগ্না নারী দেহের স্পর্শে ধন্যা
কিছু বোতল, যৌবন যাদের পরিপূর্ণ ছিল
অ্যালকোহলের চরা গন্ধে মাতোয়ারা,
আজকে তারা বর্জ্য,
বয়সের ভারে নিজেকে বিলিয়ে নিঃস্ব অপাংক্তেয় ।
নেশায় বুদ অসংগত হাটা চলায় ভুলে যাওয়া টয়লেটের
খোলা ছিটকিনির দড়জার ওপাড়ে গোপনে রক্ষিত
আধুনিক দামী কোম্পানীর ক্ষ্ত বিক্ষ্ত গর্ভনিরোধক খাপ
সকালের আলোতে যা একেবারেই তুচ্ছ নগন্য ।
ঝিরি ঝিরি হাওয়ায় পর্দ্দার দোলানিতে ভেসে আসা স্নিগ্ধ হাওয়া, পূরুষ স্নানাগারের সদ্য ব্যবহৃত সুগন্ধী সাবানের
বিমোহিত সুভাষ যদি নারীত্ব খোঁজে পায়,
ল্যাপটপের মিডিয়া প্লেয়ারে চালানো থ্রি এক্স ভিডিও
শ্লিপ মুডে স্টিল ছবি হয়ে থেকে যায়,
লাল নীল আভা ছড়ানো চলতি রঙীন আলোর বাতিটা
সূর্য রশ্মি ছটায় বিবর্ণ হয়ে যায়,
ক্লান্ত দেহের ঘুম যদি অফিস টাইম পেড়িয়ে যায়
নিকোটিনের গন্ধ যদি বদ্ধ ঘরের আঙিনায় থেকে যায়,
সে রাত উৎসর্গিত শুধুমাত্র অসভ্যের ঠিকানায় !
ঐ রাতের ফ্লেটের পাশের রাস্তার ওপারে ছনের ঘরের
দড়জার ভেতরে আরো কিছু ছবি ছিল বিবসনার,
গোনে গোনে দুইশত ঊনআশি রাত্রির পরে
সদ্যজাতের কান্নায় রচিত হয়েছিল আরেকটি রাত,
আরো কিছু রাত দিনের সমাহারে বিবসনা রাতের
প্রস্ফুট পরিণাম লিখে গেছে মায়াবী জ্যোৎস্নার অভিসার ।
ঘামের বিশ্রী গন্ধের আবেশ মেখে যে রাত গতছিল
সাফল্যের সীমারেখায় মখমলের বিছানায়
আরেকটি বিবসনা রাত কাটায় স্বপ্নীল মুর্চ্ছনায় ।
নিকোটিনের গন্ধ আজও বিরাজমান বিজরিত
বদ্ধ ফ্লেটের কামড়ায় ।