তুই কুলটা তুই পাষানী তুই কলঙ্কিনী
বিষে ভরা নীলচে কন্ঠে তুই কাল নাগিনী,
জনম ভর খেয়ে গেলি খাচ্ছিস জন্মাবদি
জাত কূলমান সব খেলি খেলি দেশ অব্দি,
গর্ভাশয়ে রেখেই তোকে পিতার নিরুদ্দেশ
আঁতুর ঘরে জন্মলগ্নে দুভাগ হল দেশ,
রাজাকার ছিল তুর জন্মদাতা হিন্দু বাবা
স্বাধীন বাংলার দিবাকরে ঘৃনিত আভা,
মা বড় অসাহায়া নিরূপায় স্বজনহীনা
কলিমউদ্দি আগলে নিল রূপের মুর্চ্ছনা,
দিনে দিনে চাঁদ সুরুজ আসছে কাছে তুর
জ্যোৎস্না রোদে টুনটূনি পা দেয় হামাগুড়,
মুসলিমের কন্যা হলি গায়ে হিন্দুর রক্ত
তাই বুজি তুর যৌবন বেজাতে অনুরক্ত,
এক পৃথিবী দুঃখ দিয়ে দুঃখিনী মাতাকে
দেশ গা ছাড়লি চুপে কলঙ্কের গাঁট বেঁধে,
এদেশে তুর নেই যে কোন স্বজন সুজন
ওদেশ ছেড়ে ঘর বানালি একাকী দুজন,
তাইতে ও তুর নেই যে শান্তি নেই খামতি
এদেশ হাওয়া মিঠে চাওয়া সুখের ভ্রান্তি,
নীরব দুপুর কোকিলা আড়ালে আবডালে
ফিকে রঙে বসন্ত পলাশের আগুন জ্বালে ।
---------ক্রমশ ।


(বিঃদ্রঃ  কবি অজিতেশ'দার রুকুর কাব্যে প্রভাবিত হয়ে আমার জানা ছাই চাপা এক সত্যের অবগাহন)