গত মাস ছয়েকের অক্লান্ত পরিশ্রমের
বাঁশের কঙ্কতখানা, আজকে হল পরিপূর্ণ
কাজের বস্তু একখানা, কাঁধে বয়ে মাঠে গিয়ে
খেতের আলে দাড়িয়ে, মাথাটা ঘোর ঘোর করছে বৈকি ।
সমানে দোল খায় ফসল আগাছায়, রোদে মেঘে
চলছে খেলা নিষ্কলুষ আকাশটায়, চিল শকুনের
ডানার দাপট ঢেকে যায় ক্ষনিক, নীলাম্বরীর মুক্তো দাঁত
হাসি দেয় খিল খিল, চকিতে চমকায় সবুজ ভরা বিল ,
অনাকাঙ্খিত অঙ্কুরোদগমের শষ্যচারার আর্তনাদ
আছে কি ! জলুইয়ের ভয়ে জড়সর গরুরা লেজ নেড়ে
মশামাছি তাড়ায়, ওরা জানে এখন মুখ বেঁধে দেওয়া হবে,
পদতলের ঘাস যেন ডুবুরীর সমূদ্রের নোনাজল ।
ভরা যৌবনের যুবতীর মসৃন লাবন্যময়ী দেহে
আমি শৌর্য্যের বীজ বুনেছি, কঙ্কতখানা প্রস্তুত
এঁকে দিতে কলঙ্কের চিহ্ন লাস্যময়ীর বুকে,
আগাছারা অনাকাঙ্খিত চিরকাল যতক্ষন না
আপন ঠিকানা চিনবে, চিরুনির তীক্ষ্ণ সরু শলাকারা
ওদেরকে আচঁরাবে, প্রেয়সীর বুকে বসে আপন
সন্তানের ঠিকানা খুঁজতে নির্মম হতে হয়ে,
যেমনটা গরুমোষের পিঠের চিহ্ন কথা কয় ।