এক দলা কাঁচা মাটি হাতে নিয়ে সারা রাতি
বসে আছি অপেক্ষাতে বানাবো সাজের মূর্ত্তি,
মাটির সোঁদা খাটি গন্ধ হারায় আপন অস্ত্বিত্ব
মৃন্ময়ী রূপ পায়না স্বরূপ হয়না ফসল বিস্তৃত ।
কাঁদার ভয়ে যায় শুঁকিয়ে লীন তাপে তালু
আঁধার ঘরে নীল সাগরে হীন পূষা আলো
হিংশ্র শার্দুল শ্বাপদসঙ্কুল অবয়ব ভাসে
পঙ্কিল লেপ্টে সারা দেহে পৈশাচিক উল্লাসে ।
ভাঙ্গা ঘরে কষ্ট করে চন্দ্রিমারে আগুলিয়া
বিনিদ্র দিন রজনীর সাধনায় মূর্ত্তি গড়িয়া,
চিন্ময়ী ঔদ্ধতে মৃত্তিকা ধায় আমায় সংহারে
ভয়দ সুসমাপন পূনঃ মাটি আকাড়ে ।
শাপলা শালুক ভাসত যেমন বানের জলে বিলে
ভাসছে ওরা মনের সুখে আপন ভিত মূলে ।
মাটি অহং অস্মিতায় স্বরাজ সরোবরে
উর্ব্বরতায় ফসল ফলায় নিজ বক্ষ ভরে ।