কাঠ বেড়ালী লেজ উঁচিয়ে কাঁঠাল গাছে ডালে ডালে
পাকা কাঁঠাল খুঁজে বেড়ায় গন্ধ শুঁকে এদিক ওদিক,
ওরা যেন অট্টালিকার বাউন্ডারীর পাশের
ঝুপরিওয়ালা বাসিন্দাদের প্রতিবেশী অনাহারে ।
চোখ কান খোলা রেখে দ্রুত পায়ে পালানোর পথে
সহযাত্রী সহচরী সভ্য এ লোকালয়ে ।
ওরা খায় চুরির ফল ওরা খায় উচ্ছিষ্ট
ওরা যায় ডালে ডালে ওরা ডাষ্টবিনে,
ওরা যায় দৈব বেশে ওরা ছেঁড়া পোষাকে
ওদের সভ্যতার বালাই নেই ওরা সভ্যতা মানে,
ওরা আছে পশু কূলে ওরা মানব সমাজে
ওদের অস্ত্বিত্ব বিপন্ন ওরা বাড়ছে দিনে দিনে ,
অথচ কি অদ্ভুৎ মিল ওরা ও ওদের চাল চলনে ।
বিষ্ময়ের নীরব দুপুর জানালার পাশে
বসে বসে কথা হচ্ছিল একটি কাঠবিড়ালীর সাথে,
বলছিল স্মৃতিকথা সব খুকীদের পেয়াড়ার ;
এমনি সময় হঠাৎ একটি গুলতির গোলা পিঠে
নিমেষে লুটিয়ে পরল মাটিতে সব কথা সব মিল অমিল মুছে,
জানালার বাইড়ে চোখ রেখে দেখি আমার রাঙা চোখের ভয়ে,
ইতস্তত করছে বেলুনের মত পেটের বছর সাতেকের ছেলে
গোপনাঙ্গ ঢাকতে অক্ষম একটা দামী ছেঁড়া ময়লা প্যান্টে ;
কাঠবেড়ালীটার লাশের লেজে ধরে নিয়ে গিয়ে আজকের
অভুক্ত পেটের খাই মেটাবে,
হয়তো বা কাড়াকাড়ি হবে,
মা বাবার সেই অট্টালিকার গন্তব্যে যদি না মেলে দু মুঠো ।