দুটি পাহাড়ের পাদদেশ ক্ষনিকের বসতি
সবুজ অরণ্যে ঘেরা , পাখিদের কোলাহল,
পদাঙ্কে মৃত্যুর ছাপ, নৈশব্দে নিস্তব্দ নীরব,
ঝর্ণা বারিধারার বিস্তৃত বিস্মৃতির কঙ্কাল
চিনচিনিয়ে বইছে ...অস্ত্বিত্বের টানে,
গা শির শির করা সিংহীর গর্জ্জন একপ্রান্তে ;
টংঘরের টুং টাং যতদুর অনুভব নিশ্চিত
আগ্নেয়াস্ত্রের বৃহন্নলা উত্তেজনা ।


সুর্য কিরণমালার বর্ণচ্ছটায়
আকাশের সাদা মেঘ যেখানে সোনালী হয়,
জুম চাষের লাল মাটির পোড়া গন্ধে
দুরূহ জীবনের প্রারম্ভিকতার লগ্ন বয়ে যায়...
কলা বাগানের আলপথ বেয়ে তুমি এলে ,
  বসন্তের গায়ে রং মাখিয়ে ।


ওগো বসন্ত, তুমি এতো সুন্দর কেনো ?
জাত্যাভিমানে হিংস্রতার রক্ত শুকিয়ে
মৈত্রীর মাধুর্য্যে রাঙিয়ে লগন
তোমার আসা হল - এই পদস্খলনের পাদদেশে ।