কবিতাটা মরে গেল আজকে ভোরে
সাতটা না বাজতেই পুলিশ দলে দলে
দলা করে নিয়ে গেলো হাসপাতালে,
কেঁটে চিরে পোষ্ট মর্টেম করবে বলে
মর্গের ঐ বদ্ধ ঘরে ঠাঁই দিল তাঁরে ।


দশটা নাগাদ ডাক্তার বাবু কাঁচি হাতে
সোজা গিয়ে নাড়ি ভূরি কেটে
গ্লাভস্ হাতের রক্ত ধুঁয়ে রিলাক্স হয়ে বসে
সিগারেটে টান দিয়ে ডাক দিলেন ডোমকে
লাশটাকে সেলাই করে দে ।


এগারটা নাগাদ তাকে আনতে গিয়ে শ্মশানে
রিপোর্টটা চাইলাম সবিনয়ে,
দাঁত মুখ খিচিয়ে ডাক্তার তাড়িয়ে দিলেন আমায়
"তোমি কি বুজবে খোকা, মৃত্যুর কারন - বিমার"!
জান নিয়ে পালিয়ে গেলাম কবিতাকে ছেড়ে
কবিতা মর্গে একা লাশ লাশ খেলে ।


ঘরে এসে ফিরে দেখি হাসছে সবাই মিটি মিটি
ল্যাপটপ, ডেস্কটপ, বেশ কয়েকটা ডায়েরি,
হুপারটা হঠাৎ স্বশব্দে উঠল বেজে প্রকটে
দাঁত ভ্যাংচে করছে লেখা আবৃত্তি ।


রাগে ক্ষোভে একাকার চোখের জলে মিশে
খাচ্ছি যখন চিবিয়ে বাংলা ডিকশনারি,
সমার্থক শব্দের বইটা নাচছে তখন দূরে ;
হনলা'দা পিঠে হাত রেখে, সমবেদনার সুরে
সান্ত্বনা দিচ্ছে আমায়, কবিতাকে নিয়ে আয়
সে কি জানে ! দোষ তো করেছি আমি আর তোমি ।