শতাব্দীর স্নান শেষে
মহামারীর মহাকাল,
তোমার আমার একটু বিলাপ হউক
তুমি সকাল আমি বিকাল ।
স্নিগ্ধ বায়ে সোনাঝরা রোদ হয়ে
ব্যলকনিটা ছূঁয়েছিলে
এক মুঠো শিউলীর সুগন্ধ গায়ে মেখে ;
অতঃপর ড্রয়িং রুম হয়ে
একেবারে ডাইনিং -এ লাঞ্চ
সুর ছন্দ মাত্রা তাল লয় ইত্যাদিতে ।
ঠাকুরঘরের ময়ূর সিংহাসনে
দেবতার বা পাশে বসেছিলে বেশ কিছুক্ষণ
আকাশে কান পাতলেই শোনা যায় গুঞ্জরন
তোমার আমার প্রেমের প্রষ্ফুট অনুরণন ।
এখন বিকেল,
ক্লান্ত সূর্যের নিস্তেজ কিরণে
ব্যলকনির সন্ধ্যা মালতীরা
সেজেগুজে তৈরী ফোটবে বলে ।
আমার ড্রয়িং রুমে পশ্চিমা আলো আসেনা
একটু আগেই সন্ধ্যা নামে,
টিউব লাইটের চারপাশে
টিকটিকিদের প্রেম বিলাসে
নেশা ধরে যায় নিয়ত...লম্বা রাতের ।
তুমি পাশে নেই বলে
তোমাকে উৎসর্গ করে  কলম চলে
পৃথিবীর অপর প্রান্তরে, এ প্রান্তে আমি
প্রতিদিন লাল দিগন্তে শোকচ্ছবি আঁকি
নিকষ কালোর ক্যানভাসে ।