রাঙ্খলী তার ডাক নাম
          ভারী দস্যু মেয়ে,
বয়স বড়জোর তের কি চোদ্দ
আবদ্ধ ঘরে । কেননা, তার বসন্ত
আসেনি দিন মাস গোনে ।
বাবা তার নামেই শ্রমিক
দিনভর লাঙ্গি সাথী,
মা যদিও ঝুরি মাথায় দিন কাটায়
চা'এর সবুজ পাতায় পাতায় ।
উনুনের দোরে অশ্রু ঝরে
রোজ রোজকার রোজনামচায় ।
নির্জন দুপুর , সঙ্গে ছিল বান্ধবী রূপালী
লাকড়ির বোঝা চরাতেই মাথায়
একটা সাপ নিভৃতে ঘাড় বেয়ে
দেহের ভাঁজে ভাঁজে
পাহাড় নদী গিরিখাত হয়ে
হেমন্তের মাঠেও যখন ক্ষান্ত হয়নি সে,
রাঙ্খলী তার মাথার বোঝা ফেলে
দুজন মিলে বাবার এঁটো লাঙ্গি গিলে
দাওয়ায় বসে স্বপ্ন দেখে
কৃষ্ণচূড়ার ডালে, দোলে আর দোলে ।
মা - বাবাতে ঝগড়া করে
চাঁদের সাথে যুক্তি করে
কুপিটা দিল নিবিয়ে ।
রাঙ্খলী তার সাপটাকে আঁধারে হাতরে
লুঙ্গা লুঙ্গায়, ঝোপঝাড়ে
শুধু শুধুই খোঁজে মরে ;
এবার বসন্ত এসেছে ঠিক সময়ে
শিমূল পলাশের বাগান দিয়ে ।


(*লাঙ্গি - উপজাতিদের তৈরী এক প্রকার বাংলা মদের নাম ।)