সন্ধ্যে নামলেই আতঙ্ক গ্রাস করে আমায়
কখন জানি নখ দাঁত প্রকট করে
হায়নার দল আক্রমণ করে!
সামনে এসে ভূয়ো রোষানলের অভিনয় করে
রক্ত মাংস হিম করা উদ্ভট চিৎকারে
আকাশ কাঁপিয়ে মেঘ ভেঙে বৃষ্টি
করে
আমাকে ভিজিয়ে দিয়ে যায়।


সন্ধ্যে নামলেই আতঙ্ক গ্রাস করে আমায়
তোমার অনুপস্থিতির স্মৃতিমেদুরতায়
আমি যখন ক্লান্ত অবসন্ন
মৃতপ্রায়
ওরা আসতে পারে যেকোন সময়
যেকোন ভাষায়।


সন্ধ্যে নামলেই আতঙ্ক গ্রাস করে আমায়
মৌসুমী বায়ুর নাম করে কালবৈশাখী হয়ে
কখন এসে ভেঙ্গে চুরে চুরমার করে দিয়ে যায়
আমার উঠানে স্বপ্ন মাখা ইউকেলিপটাস গাছটা।


সন্ধ্যে নামলেই আতঙ্ক গ্রাস করে আমায়
জোনাকির দঙ্গল ব্যুরো ক্ষেতের
ঘন কালোয়
মিছিল করে করে শ্মশানের পথ বেয়ে
ভীড় না করে এসে আমার মখমলের আঙিনায়।


সন্ধ্যে নামলেই আতঙ্ক গ্রাস করে আমায়
আকাশ থেকে ধুম করে ধুমকেতু হয়ে
আমার ঘরের চালায় না পরে এসে
উল্কা
এখন যেহেতু বর্ষা, ওদের ইচ্ছেতেই যে প্রকৃতি কথা কয়।


সন্ধ্যে নামলেই আতঙ্ক গ্রাস করে আমায়
লাশেদের মিছিলে লাইন লম্বা না হয়
পোড়া গন্ধে প্রতিদিন আমার ভীষন বমি পায়
হিংস্রতার নগ্নরূপ ক্যানভাসে ও কবিতায়।


এভাবেই প্রতিদিন সন্ধ্যায় নিশাচর
আমার আঙিনায়
ঘর বাঁধে বাসা বাঁধে রাধে বাড়ে খায়
আমি প্রহর গুনি আমার পিতৃদত্ত আস্তানায়
কবেকার আকাশলীনা হাতছানি দেবে আমায়।


সন্ধ্যে নামলেই আতঙ্ক গ্রাস করে আমায়
মাথার পাশে বালিশে আতঙ্কিত
ফুলসজ্যা
ঘাস পাখি নদী হয়ে কোকিল পলাশ কৃষ্ণচূরায়
বীভৎস শব্দের ঝংকারে কবিতা কাঁদে কবিতায়।।