সীমানার বেড়াতেই যত বিপত্তি,
       বাবা বলে গেছেন দাদু দেখিয়ে ছিল
       দক্ষিনের হিজল গাছটাই শেষ সীমানা,
       মা কিন্তু এখনো নিয়মিত পূজো দেন
       উত্তরের বকুল তলায়, পুর্বপুরুষদের ঠিকানা ।


       পুব দিকের সেন কাকু'রা সেই কবেই
       একেবারে পাকাপোক্ত বাউন্ডারী হাঁকিয়েছেন ,
       পশ্চিমে পীচ ঢালা রাস্তা, অথচ আজ অব্দি
       সরজমিন করা গেলনা, আমাদের সীমানা !


সীমানার বেড়াতেই যত বিপত্তি,
        কবেকার কালো জ্বর বিলুপ্ত প্রায়
        নিয়েছিল প্রাণ কেড়ে দাদুদের শয়ে শয় ,
        যক্ষ্মা বাবাকে যথেষ্ট দিয়েছে শিক্ষা
        ঠাম্মার হুপিং কাশি কেড়েছে মৃত্যু ভয় ।


        কর্কট মা'কে নিয়ে যাবে জানি
        তবুও ডাক্তার, হাসপাতাল, ঔষধ,
        রক্তচাপ, মধুমেহ আরও কিছু উপসর্গ
        সহ বেঁচে আছি, অথচ জানিনা সীমানা !


সীমানার বেড়াতেই যত বিপত্তি,
         চারি ধার জল তার শূন্যে আঁধার
         আকাশের নীলে করি স্বপ্ন বাহার,
         মহাশূণ্যে কত জ্যোতিষ্ক অপার
         গবেষনা চলে শত কে বা কাহার ।


         বসবাসের ঠিকানা বা জীবনের ঠিকানা
         বড় বড়াই চলে , চলে হিংসা অহংকার,
         পৃথিবীর কোলে বসে পৃথিবীকেই চিনিনা
         জন্ম, মৃত্যু, জানিনা কোথায় কার সীমানা ।।