সোহাগিনী তোমার চোখে উঠেছে গেয়ে মুকুল অনাবৃত
অনাবৃত মনের সকল ঊচ্ছাসে আজ বাজছে মাদল
বাজছে মাদল সোহাগিনী তোমার বর্ণালীতে
তোমার বর্ণ স্বর্ণ রোঁদে দীপ্তি ছড়ায় অনর্গল
সোহাগিনী তোমার রাঙা চক্ষু ভাষা উদ্বেলিত,
............ তাতেই আমার মৃত্যু।


সোহাগিনী স্বপ্নের যুগ তৈরি করলে যখন আদ্যাশক্তি
জ্ঞানবৃক্ষের প্রথম আলো তোমার পায়ে তোমার অধিকারে
সে অধিকার তোমার মুলে নয়ত আমার দান
সে অধিকার তোমার সাক্ষী, আকাশকুসুম আচার ব্যাবহারে
তোমার ছোঁয়ায় উঠেছে নেচে তরুবটের ছায়া,
............ তাতেই আমার মুক্তি।


সকল কুহূ ধরিত্রীতে তোমার রসের খেলা
তোমার অঙ্গে চতুরঙ্গে ভাবসাগরের মেলা
বৃন্তে বাধা বোধের সোপান, অন্তরেতে গান
পায়ের নিচে ছন্দমধুর বিহ্বলিত তান
মুগ্ধ ছিলাম তারই ভাষ্যে লাস্যময়ীর নাচ
তোমার গুনে সোহাগিনী ধন্য অঙ্গসাজ
চেতনা তোমার প্রেমের আগুন নতুন পৃথিবী দেখা
প্রথম তুমিই চিনতে শেখাও বিষবৃক্ষের শাখা


এখন আমি ভোরের আদলে তৈরি করেছি অস্তিত্বের নতুন সংলাপ
যে ভাষায় তোমার সাথে রঙ খেলেছি সাতটা রঙে, যে ভাষায় -
এক সাথে হাতে হাত, ঠোঁটে ঠোঁট, পায়ে পা মিলিয়েছি নতুন দিকে
পাহাড় থেকে সমতল থেকে সমুদ্র, সর্বত্র ছুটে গিয়েছি তোমার দেখান পথে
নতুন বসন্ত দু হাত ভরে আশীর্বাদ করেছে আমাদের, এক সাথে
জানিনা সৃষ্টিকর্তা কোন তুলাযন্ত্রে মেপে -
তোমায় দিলেন সৌন্দর্য, আমায় দিলেন শক্তি
তোমায় দিলেন পরিমাপ আর আমায় দিলেন যুক্তি
তুমি আমায় দেখালে পথ জীবনযাত্রা জিয়নকাঠি,
তোমার খাওয়া প্রথম আপেল গ্রহন করি।
তোমায় অনুসরণে মুগ্ধ এতক্ষন জানতে পারিনি,
তোমার ছোঁয়ায় বৃক্ষের প্রতিটি বৃন্ত আজ উদ্ভাসিত
খুদ্র থেকে খুদ্রতর জীবন যেন তোমার অপেক্ষায় ছিল ম্রিয়মাণ
স্নিগ্ধ বাতাসের স্পর্শ, নীল পরিখার জল, আজ নতুন আলোর স্পর্শ পেয়েছে।
তুমি প্রাণ দিয়েছ ধরনিকে, আমার চেয়ে প্রধান হয়ে, তুমি প্রাণ দেবে ধরনিকে।


তবে কেমন করে...
তবে কেমন করে সোহাগিনী নগ্ন হৃদয় শরীর তোমার ভঙ্গ হল
তবে কেমন করে তোমার কথা লেখা হয়নি কালের লেখা কোনও পত্রে
এমনকি তার শিক্ষা প্রথম লেখা হয়নি তবু যত্নে আমি জানি
সেই আমিই জানি তুমি ছিলে প্রেয়সী আমার সকল আবিষ্কারে
আগামী আবার মুখরিত আবার মুগ্ধ হবে তোমার সম্মোহনে
সেই নতুন আলোয় মাতব সবাই আমরা আবার সকল কুটিল খেলায়
জোর করে তাই শক্তি দিয়ে নষ্ট করব সুন্দরতার মানে
অস্তিত্বের স্বার্থে যখন তোমার ওপর কলঙ্ক মন লিপ্ত হবে
আমিও তখন সজল হব,  অসামাজিক নিষ্ঠুর মাদকতায়
বীরাঙ্গনা তখন আবার বাঁধবে আমায় বাঁধবে আবার তোমার আলিঙ্গনে
জানবে সবাই, মানবে সবাই তোমার জন্য আমার উত্তরণ।
আবার লড়াই করবে গৌরব তার, লড়াই করতে প্রতিহত হতে যেদিন তোমার
চিৎকার শুনে প্রমাদ গুনবে সমাজের কোনে ছড়িয়ে থাকা হিপোক্রিটের দল
সেদিন তুমি নিঃশ্বাস ভরে পান করবে মুক্ত হাওয়ায় আমার দুঃসাহস।
প্রমাণিত হবে তোমার গুনেই, বাতাসের বিষ হবে নিঃশেষ আর
সেদিন হবে প্রমাণিত নারী তুমিই আদি, তুমিই সবার শেষ।