টুকাই তখন ছোট্ট বলে, দুষ্টুমিতে ছিল রাজা
মানত না বাধ বাবা মায়ের, যতই তাঁকে দাওনা সাজা
দুষ্টু বলে ডাকত সবাই, দুষ্টু বলে ডাকত তাঁকে
মন থাকত তেপান্তরে, যখন তখন খেলার মাঠে


পড়ার ফাকেই উঠত গেয়ে, সপ্তনদির দেশ
দাদু বলেন, " টুকাই তবে কবি হলেই বেশ-
বেশত তবে হোক না যদি, খেয়াল সঙ্গি হারা
কবি টুকাই মাতবে দেশে, মাতবে পাগল পারা।"


রেগেনেগে বলেন বাবা, " দিবাস্বপ্ন ছাড়ুন -
কবি হতেও শিক্ষা লাগে, হোক না অরুন - বরুন।
শিক্ষা যখন পরখ করবে সঠিক কিম্বা বেঠিক
তখন নাহয় কবিতার দেশ সহায় নিয়ে নিক।


দাদু শুধোন,"শিক্ষা পাবে সমাজের অন্তরে,
কুহেলি ও মাটির গন্ধ নেবে যত্ন করে
অসামাজিক শক্তি যত শেখাবে অসৎ কাজ
টুকাই ততই শক্ত হবে,  মিটবে অহম লাজ”


বাবা তখন ওঠেন রেগে, “এটি কেমন কথা?
ভাষা শিক্ষা বিনা সকল শিক্ষা হবে বৃথা
শিক্ষা পেলে বুঝতে পারবে মূল্যবোধের কথা
মন দিয়ে সে লিখবে তখন যত্র তত্র তথা।"


দাদু বলেন," ঠিকই বলিশ, তবে কি হয় খোকা?
মোদের দেশে পুথিবিদ্যাই, শিক্ষা বলে বোকা।
মূল্যবোধ জিনিসটা কি? হৃদয় দিয়ে চেনা
বোধের মুল্যে চারটে কিতাব, নয়তো বেচা কেনা।"


টুকাই সোনা বুঝল পরে, বাবা দাদুর কাছে
কবিরা পুথি নাই বা পরুক, শিক্ষা তাঁদের আছে।
ভাল লেখা, মন্দ লেখা বোঝেন যে সব কবি
লিখতে লিখতে তারাই হবেন, কাজী কিম্বা রবি।