করিমের ছেলে গিয়েছিল জেলে,
ছাড়া সে পেয়েছিল উপাড়ের বেলে।
অপরাধ তার বামুন হয়ে
ধরতে চেয়েছির চাঁদ্।
রোজিনার বাবা বড় তার থাবা।
টাকার গন্ধ পেলে,ছাই দিয়ে গিলে।
গরীব যত যারা তার নাম শুনে
কেপে উঠে পিলে।
তারই মেয়ের সাথে মনে মন গাথে,
মানিতে হইবে বড় সাহস তার ধরাতে।
কানে কানে কানাকানি হইলো জানাজানি।
করিমকে পাইলো আপদে ছলিম পড়িল বিপদে।
রোজিনার বাবা খেলে দিল দাবা
বাকিটুকু সেরে দিল থানার দারোগা।
ছলিম আটক হল অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে,
গরিবের কথা শুনিল না কেউ
ছি ছি পড়িল সারা গাঁয়ে।
একদিন থানা হইতে আসিল ছলিমের লাশ,
আছোলা বাঁশ ডুকিলো
তবুও আমাদের হইলো না লাজ!
মুখে নিরব,মনে মনে করিম বলিল যাহা
আহা-মানুষ রূপে তুমি দেখাইলে
অমানুষে করে যাহা।
এমনি করিয়াই আমরা গরিব চিরকাল মার খাব,
যত দিন না আমি তুমি সে মিলে আমরা হব।