নিঃস্বার্থ ভালবাসা শুধু একজনই দিতে পারে
সে হল জন্মধাত্রী,মধুর হাড়ি,ছোট্র নামের মা।
স্তন্য করেছি পান স্বার্থপরের মত
কখনো বুঝতে চাইনি তার কষ্ট ছিল কত।
যখন তখন কেদে উঠেছি হয়তো তখন গভীর রাত
হাড় কাপানো শীতে বার বার সন্তানের গায়ে
সড়ে যাওয়া কাঁথা জড়াতে গিয়ে সুখ নিদ্রা করেছে বরবাদ।
যখন এসেছিলাম ভবে করুন আর্তনাদে
পরিপূর্ন ছিল তখন কোলাহল মুখরবে।
নব আঁখি আমার বিদীর্ন মার্তৃকূলে
সুনিদ্রায় বিভোর আমি স্বর্গ সম কোলে।
মহিয়সসী আমার ক্রোধান্বিত হয়নি দিয়েছে চুমু গালে
শায়িত আমি টের পাইনি অদূর কশ্মিন কালে।
কর্তব্য তাহার এটাই তব তারি শিশুর জন্য
সকলই দোষ, সকলই ক্রুটি মহুর্ত ব্রতের শৈন্য।
আজ হারিয়ে গেছ দুর অতীতে,সময়ের ব্যবধানে বহুদুরে
তোমারে খুজি আমার ভিতর বাহির, পাহাড়, সাগর, আকাশের তারাতে।
তুমি ছিলে বন্ধু আমার সুখ দুঃখের সাথী
আমারে আলো ছড়ায়ে তুমি হলে অন্ধকারের যাত্রী।
জীবন আমার যাচ্ছে বয়ে চাতক পাখির মত
তোমার ভালবাসা ফিরে পেতে বুকের মাঝে যন্ত্রনা,হাজারো হয়েছে ক্ষত।
হৃদয়ের দ্বার খুলে ডাকি তোমায় অশ্রুজলে আহবান
শুন না তুমি আস না ফিরে জানিনা কি তোমার অভিমান।
আমায় সব দিলে নিলেনা কিছু হলে পরবাসী
তোমার একধার দুধের দাম,তোমার উজাড় করে দেওয়া স্নেহ মমতা
তোমার রঙ বিহীন উদারতা এসব কোন কিছুর মূল্য আমার কাছে নেই।
আর প্রতিদান!তুমি নেই,সেটাও আজ নাগালের বাইরে।
তোমাকে আজ আমার কিছুই দেবার নেই
দেবার মত শুধু ঐ টুকুই আমি তোমায় ভালবাসি
মনে রাখবো তোমায় মৃত্যু অবধি।