প্রতিদিন রাতে ঘুমনোর আগে
পাঁচটি মিনিট এক এক করে
পাঁচটি ঝাপি খুলি ;
এলো মেলো করি
আবার সাজাই।
প্রথমত, খুলি প্রেমের ঝাপি!
ফেলে আসা কোন নারী  মূর্তি,
চোখের চাওয়ায় মন ভুলানোর কারুকাজ
হাসির মধু পূর্নিমায় নিষ্ঠুর বিষে জীবন বলিদান,
তিক্ততায় ঝাপির মুখ বন্ধ ।
দ্বিতীয়ত, খুলি অর্থের ঝাপি !
নিজের দর্পণে অতীতকে দেখি
কিভাবে অর্থ জীবনকে অনর্থ করে দিল,
লোভ,মোহ আর বিলাসিতা কিভবে
অমানুষ বানিয়ে দিল ।
তৃতীয়ত,খ্যাতির ঝাপি,সেখানে উল্টে উল্টে দেখি ,
খ্যাতির পিছে ছুটতে গিয়ে
যে ঘোড়ায় সওয়ার হয়ে ছিলাম
সেটা ছিল পাগলা ঘোড়া
সে আমায় স্বচ্ছ নিরেট পথ ছেড়ে নর্দমায় ফেলে দিয়েছিল,
আজ অখ্যাতির বোঝা বইতে বইতে গাধাতে পরিণত হয়েছি ।
চতুর্থত,যশ্ নামের সস্তা ঝাপিতে হাত বাড়াই
যশ্ আমায় এতটাই অপমান এনে দিয়েছে যে,
আজ আমি নিষ্য,নামে ফুল বাস্তবে গন্ধহীণ ।
সবসেষে মৃত্যু !!
মরতে কেউ চায়না
হয়ত আমিও না ;
আমি ভাবি অন্য ভাবে
প্রেম,অর্থ,খ্যাতি আর যশ
এদের আগে যদি মৃত্যু পেতাম !
তাহলে হয়তো, নারীর অবহেলা
অর্থের ছরনায় পূর্ণি বিষর্জন,
খ্যাতির লোভে মানবতা মাড়িয়ে
অমানুষের স্বার্থ হরণ আর যশের
মোহের তাড়নায় বর্তমানকে ভিজিয়ে
রাখতে আজ ভবিষ্যতকে শুকিয়ে
ফেলতে হয়তো না।
যে ভোরের আলোয় জন্ম
নিলাম অবহেলায় তা হারিয়ে
আজ রাতের আঁধারে পরিনত
ভোরের আলো খুঁজি মৃত্যুতে,
কিন্তু তা আমার ইচ্ছা নদীতে ফুটা কোন পদ্ম নয় ।