আজ এতকাল পর মনে হল
মনের ছোট্ট ঘরের এক কোনে
নীল আভায় কষ্টের প্রদীপ
মিট মিট করে জ্বলছে।
আমি অবাক হলাম,
আমারতো এমন হবার কথা নয়;
আমি ছিলাম কষ্টহীন,প্রেমহীন সহজ লভ্য
নিরামিশ জাতীয় মানুষ।
কিশোরীর প্রথম ঝড়ের দাপটে
যখন চোখের চাহনিতে আগুন তৈরী হতো,
তখনও আমি ভস্ম হইনি।
তখনও তার কারু র্কাযময় হাসি
আমার ঘুম ভাঙ্গাতে পারেনি।
অবশ্য কখনো কখনো তার
অশ্রুর কারণ জানতে ইচ্ছে হতো,
কিন্তু ভিতরের কুম্ভর্কনটার ঘুমই ভাঙ্গতো না।
আসলে মানুষের মনটা আকাশের মত;
যখন মেঘে ঢাকা থাকে তখন চাঁদকে দেখতে পায়না।
আর তাতে জোসনাকে উপভোগ করার ইচ্ছাও মনে জাগেনা।
যখন মেঘ থাকেনা তখন হয়তো চাঁদকে পাবার সাধ জাগে:
ততক্ষনে চাঁদ হারিয়ে যায় দিনের আঁলোতে।
ভালবাসা,প্রেম,মনের মিলন যাই বলিনা কেন
আসলে ওরা এমন এক বস্তু ঠিক যেন প্রেম কাটার মত;
না চাইলেও ওরা গায়ের বসনে লেপটে থাকে।
একবার কোন এক ললনা তার সুপ্ত আবেগ পুরোটাই ঢেলে
আমায় চুম্বন করে ছিল!
আমি চমকে উঠেছিলাম,কিশোরীর চুম্বনে নয়
আমার ঘুমন্ত যৌবন জাগ্রত হওয়ার কম্পনে।
ঠিক যেন বাতাসের অবারিত খোলা মাঠে
হঠাৎ করে ঝড়ের রূপ নেওয়ার মত!
সেই কম্পন আজ সুনামির রূপ নিয়েছে
ভূমিকম্প হবে!
অপেক্ষায় আছি,ভূমিকম্পের লন্ডে ভন্ডে
নিজের ভিতর এক নতুন রূপ দেখবো বলে-