একটা কবিতা লিখবো বলে
কত রাত ভাবতে গিয়ে
এভাবে ঘুমিয়ে পরেছি,


যে ভ্রমনে একটা মেয়ে ছিলো
ঘুমের ঘরে কড়া নেড়ে যায়
অনুভবে চুপটি মেরেছি।


প্রতিদিনের মত আজও
বাস স্টান্ডের সেই মেয়েটি
দাঁড়িয়ে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে,


তাকে অদেখা ভাব নিয়েছি
ছিমছিম টিপ লুকোচুরি
দেখি খানিকটা দূর গিয়ে।


এক ফালি রোদ্দুর ঝলমলে
চশমার ফাকে তার চাহনি
বারন বার দেখেছি,


উঠা-নামা ঠিক এক সময়ে
অচেনা মানুষ হয়ে তবুও
ভালো লাগা শুপেছি।


মনে পড়ে বাসে উঠতে হঠাৎ
তার হাতের আলতো ছোঁয়া
পেয়েছিলাম বাম হাতে,


অদ্ভুত চরিত্রে থমকে উঠেছি
সিক্ত হয়েছি ব্যাকুল পাড়ায়
হৃদ গগনের বজ্রপাতে।


বাসের সামনে বসে থাকা
মেয়েটি একটু ঘুরে পিছের
সিটে বসলো এসে,


আবছা আলোয় জানালায়
তাকাতেই তার প্রতিচ্ছবি
দেখি মুচকি হেসে।


গল্পের প্রথম পাতার শেষে
বোধহয় এখানে পরিচয়
রেখেছে বড় ভূমিকা,


আবার ফিরবো তাকে নিয়ে
সে অনুগল্পের নাম দিবো-
সেই তুমি অনামিকা।