নাম তার
হারাধন কৃষ্ণ
নামেও কৃষ্ণ, কামেও কৃষ্ণ
কৃষ্ণের কারবার
সব বেটাই নাকি তার কাছে ধরা
এ নিয়ে অনেক গর্ব তার।
হ্যা, সত্যি বটে
নাপিত ছাড়া ব্রাহ্মণও পথে,
তবু দুই বেলা ভাত নাহি জুটে।


ভাত জুটেনা তাতে কি??
বউ যে তার সাত সন্তানের জননী।
প্রথম ছয়টা বাপের মতোই কালা
বউরে জিগায় শেষেরটা কেন ধলা?,
"সন্দেহ কর??"-এই বলে বউ দেয় কান মলা।
বুঝিতে পারে শুধু নাপিত নয়,সব বেটাই যে
বউয়ের কাছে ধরা।
কালা গুলা তারই শিষ্য, হইবে নাপিত পরে
ধলাটা বিদ্রোহী হইল,হাজারো বুঝাইয়া না পারে।
শখ তার হইবে পাল,
ভাঙবে সমাজের বেড়াজাল
পড়তে নাকি বিলেত যাবে
বেরিষ্টার হইয়া ফিরবে কাল।।


লোকেরা কহিল-


নাপিত ছেলে হইবে পাল!!
তাহলে কি রাজার ছেলে কাটবে বাল??


চক্ষুলজ্জায় নাপিত না বাইরে যায়,
শেষ কালে তার বন্ধ হইল সকল আয়ের উপায়
বার বার নিছে-পুছে ছেলেরে বুঝায়
নাপিত বেটা নাপিতই হবে এইটাই ধর্মের লিখা হায়।
নাপিত বেটা বুঝিয়া নাহি পায়,
এ যে ধর্মের লিখা মুছিতে সে চায়।
ঘরের কথা ঘরে না রহিল
দেয়ালে দেয়ালে ধর্মাবতারের কানে গেল,
সাথে সাথেই হারাধনের বাড়িতে ডাক পড়িল,
"যাইতে হবে কাজীর দরবারে।"
নাপিত কহিল-
এবারের মতো ক্ষমা করে দাও হায়
আমরা যে বড় অসহায়।
কাজী কহিল-অসহায় তুমি তা তো আমি জানি
তুমার বেটার সব কথাই মানি।
কিন্তু শাস্তি তাহাকে পেতেই হবে
সবার সামনে জবাই হবে,
দেখুক সবাই
ধর্ম না মানিলে নাই কোন রেহাই।।
Yamim Hossain