ভেবেছো কি....?
         কলঃ-ইয়াসিন সেপাই
============================
আজ বুঝি চরাচর তুমি একলাটি! নিভৃতে কেঁদে চলেছ হরদম নিরন্তরি,
আকাশে বাতাসে করুন সুর ভেঁসে বেড়ায়, নদীর স্রোতও আজ থমকে গেছে,কি জানি কার ইশারায়।
পথে ঘাটে আজ জনবিহীন,যেন মনে হয় শহরতলি এক নির্জন দ্বীপ।


দিন আনা দিন মজুরের থমকে গেছে রোজনামচা আগম স্রোত,
তালাবন্ধ চলছে এখন, তাই শহর থেকে গ্রাম, গঞ্জেতে বিপাকে দিন মজুরত।
দিন মজুরের ঘরে ঝঞ্ঝনিয়ে ওঠে অন্য বিহীন সুন্ন থালা অকাল জ্বালায়,
নেই পেটে ওদন, বৃক যন্ত্রনায় সোনা যায় চিৎকারের বিলাপ শব্দয়ন।


হে ধোনিক জন তোমাদের তো, চেরাপুঞ্জীর মেঘের মত ভরা বৈভব।
দাওনা তা থেকে এক চিলতা মেঘ, অর্পণ করে- সাহারা মরুভূমির মত ক্ষুধাতৃষ্ণায় কোঁকাতে থাকা,, এক মুঠো অকিঞ্চন-কে।
বিফলে যাবে না যে তোমাদের আনুকূল্য, যে দিয়েছে তোমাদের,তার সৃষ্টিকে দিলে ক্ষতি তাতে তোমাদের কি!.?


চৈত্রের প্রখর রোদে জ্বলে পুড়ে খাক, চাষের উর্বর জমি ফুটি ফাটা আজ,
চাষী ভায়েরা বসে আছে যে যার ঘরে,সোনার ফসল ফলানো মেহনতি হাত মুঠো করে।
সোনার দেহে দেখা যায় না আজ, মেহনতি ঘামের সেই চিকিমিকি আভা।
জীর্ণ ঘরের ছাউনিতে উঁকি দেয় চৈত্রের প্রখর রোদের ঐকান্তিকা।


চৈত্রের প্রখর রোদে যেন মনে হয় পৃথিবীর মাটি ঝলসানো রুটি,
গরিবের শূন্য ঘর, শূন্য উদর,শুধু মজুদ আছে মাটির জলে ভরা কলসি,
ঘরে নেই অন্ন, ভাবে বসে বসে, কোথায় পাবো ক্ষিদে মেটানোর একটি রুটি
এরই মধ্যে পশ্চিমের কোনে উঁকি দেয় কালো কজ্জল, আগাম জানান দেয়,, কালবৈশাখী আছড়ে পড়বে এখুনি বুঝি।